ন্যাভিগেশন মেনু

আফগান শরণার্থী ঠেকাতে গ্রীস-তুরস্ক সীমান্তে ২৫ মাইল দেয়াল


আফগান শরণার্থীদের প্রবেশ ঠেকানোর চেষ্টা করছে গ্রীস ও তুরস্ক। আফগান শরণার্থীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে পারে এবং তারা ইউরোপে প্রবেশ করতে পারে, এই আশংকায় গ্রীস, তুরস্ক সীমান্তজুড়ে ২৫ মাইল দীর্ঘ দেয়াল নির্মাণসহ নজরদারি বাড়িয়েছে।

রবিবার (২২ আগস্ট) ভয়েস অব আমেরিকার প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়।

আনাদুলু অ্যাজেন্সি জানায়, এর আগে গ্রিসের অভিবাসন মন্ত্রী নটিস মিতারাকিস গত বুধবার বলেন, আফগানিস্তান থেকে শরণার্থীদের ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) প্রবেশ করতে দেবে না।

তিনি বলেন, 'আমাদের দেশ অবৈধ আফগান অভিবাসীদের জন্য ইউরোপের প্রবেশদ্বার হবে না।'

গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী কিরিয়াকোস মিতসোটাকিসের সভাপতিত্বে এক বৈঠকের পর গ্রিস সরকারের বিদেশ বিষয়ক কাউন্সিল (কেওয়াইএসইএ) জানায়, কর্তৃপক্ষ আফগানিস্তানে গ্রিস বাহিনীর সাথে সহযোগিতাকারী ব্যক্তি এবং তাদের পরিবারের নিরাপদ প্রত্যাবর্তনের সমন্বয় করবে।

এথেন্স ম্যাসেডোনিয়ান সংবাদসংস্থা জানিয়েছে, সীমান্ত রক্ষার প্রয়োজনে এবং নতুন মানবিক সংকট এড়াতে ইউরোপীয় এবং দ্বিপাক্ষিক উভয় স্তরের পাশাপাশি জাতীয় পর্যায়ে আলোচনা হয়েছে।

গ্রিক কর্মকর্তারা জানায়, অবৈধ প্রবেশ ঠেকাতে কর্তৃপক্ষ স্থল ও সমুদ্র উভয় সীমানায় সতর্ক থাকবে।

২০১৫ সাল থেকে গ্রীস পুনঃপুন শরণার্থী সঙ্কট মোকাবেলা করে আসছে, যখন তাদের দেশের অভ্যন্তরে সংঘাত থেকে বাঁচতে ১০ লাখের অধিক সিরীয় শরণার্থী স্থল বা সাগরপথে দেশটিতে আসে।

এদিকে গ্রীসে শত শত আফগান শরণার্থী বৃহস্পতিবার (১৯ আগস্ট) এথেন্সের রাস্তায় তালেবানদের আফগানিস্তান দখলের প্রতিবাদ করে। তারা বলছে, তারা এখনও আফগানিস্তানে তাদের আত্মীয়দের জন্য চিন্তিত।

ফ্রান্সটোয়েন্টিফোর এক প্রতিবেদনে জানায়, গ্রিস পার্লামেন্টের সামনে সিনটাগমা স্কোয়ারে মহিলা এবং শিশুসহ প্রায় ৫০০ জন বিক্ষোভকারী আফগানিস্তানের পতাকা হাতে বিক্ষোভ করে। তারা 'আমরা আফগানিস্তানে ইসলামপন্থিদের চাই না' স্লোগান দেয়।

জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনারের মতে, গ্রীস বর্তমানে ৪০ হাজার দীর্ঘমেয়াদী আফগান শরণার্থী এবং আশ্রয়প্রার্থীদের বাসস্থান, যা সেখানকার সবচেয়ে বড় অভিবাসী জনসংখ্যা।

সিবি/এডিবি/