আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধার প্রাপ্ত আবেদন চার ধাপে নিষ্পত্তির জন্য ৩ মে থেকে শুনানি শুরু করা হবে।
নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব মো. জাহাংগীর আলম মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বর্তমানে যে ৩০০টি আসনের যে খসড়া প্রকাশ করা হয়েছিল সেই গেজেট বিজ্ঞপ্তিতে ১৯ মার্চের ভেতর আপত্তিগুলো উপস্থাপন করতে বলা হয়েছে।
নির্দিষ্ট সময়ের ভেতর প্রাপ্ত ১৮৬টি আবেদনের ভেতরে পক্ষে-বিপক্ষে এই আপত্তি শুনানি করে নিষ্পত্তির জন্য তারিখ নির্ধারণ করতে কমিশন অনানুষ্ঠানিকভাবে বৈঠকে হয়েছিল। সেই সভায় চারদিনে আপত্তিগুলো নিষ্পত্তির সিদ্ধান্ত হয়েছে।
সারাদেশ থেকে সংসদীয় আসনের সীমানাসংক্রান্ত ১৮৬ দাবি-আপত্তির আবেদন ইসিতে জমা পড়েছে। সীমানার আপত্তি নিয়ে সবচেয়ে বেশি ৮৪টি আবেদন জমা পড়েছে কুমিল্লা অঞ্চল থেকে। রাজশাহীতে ৪৩টি, বরিশালে ২৯টি, ঢাকা অঞ্চলে ১৮টি আবেদন জমা পড়েছে। এছাড়া খুলনা ও ফরিদপুর অঞ্চল থেকে পাঁচটি করে আবেদন পড়েছে। অন্যদিকে সিলেট ও রংপুর অঞ্চল থেকে কোনো আবেদনই জমা পড়েনি।
নূরুল হুদা কমিশনের রেখে যাওয়া সংসদীয় আসনের সীমানা গত ২৬ ফেব্রুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের খসড়া সীমানা হিসেবে গেজেট প্রকাশ করে কাজী হাবিবুল আউয়াল নেতৃত্বাধীন কমিশন। নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে বলা হয়, ১৯ মার্চ পর্যন্ত সংক্ষুব্ধরা এ বিষয়ে আবেদন করতে পারবেন। সীমানাসংক্রান্ত প্রাপ্ত আবেদনের শুনানি শেষে জুনের মধ্যে সীমানা চূড়ান্ত করতে চায় সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি।
প্রথম দিকে প্রশাসনিক ও ভৌগোলিক অখণ্ডতা বজার রাখার কথা বলেছিল নির্বাচন কমিশন। এতে শুধু প্রশাসনিক অখণ্ডতা বজায় রাখতে গেলেই ইসিকে ৪৫ আসনে হাত দিয়ে হতো। সমালোচনা ও মামলার ভয়ে সেই অবস্থান থেকে সরে আসে ইসি।
নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব মো. জাহাংগীর আলম আরও বলেন, কুমিল্লা অঞ্চলের আবেদন ৩ মে; রাজশাহী অঞ্চলের আবেদন ৭ মে; ময়মনসিংহ, ফরিদপুর ও ঢাকা অঞ্চলের শুনানি ১১ মে এবং বরিশাল, খুলনা ও চট্টগ্রাম অঞ্চলের আবেদন নিষ্পত্তির তারিখ হয়েছে ১৪ মে। এসব শুনানি হবে নির্বাচন কমিশনের বেজমেন্টের সভাকক্ষে। এর জন্য একটা গেজেট প্রজ্ঞাপন জারি করে দেয়া হবে বলেও জানান।
