ন্যাভিগেশন মেনু

এবার প্রতিকেজি বেল ১৬০ টাকা


এরআগে দেশ জুড়ে তরমুজ কেজি দরে বিক্রি হওয়ার খবরে তোলপাড় শুরু হলেও এবার পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলায় বেল বিক্রি হচ্ছে কেজি দরে। ফলটি হঠাৎ কেজি দরে বিক্রি হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ক্রেতারা।

বাউফল উপজেলার বড় হাটবাজার গুলোতে বেল বিক্রি হচ্ছে কেজি দরে। প্রতি কেজি বেল বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা থেকে ১৮০ টাকা। অথচ গ্রামে ছোট ছোট হাটবাজারে বেল বিক্রি হতো প্রতি পিস হিসেবে।

গ্রাম্য চিকিৎসক পরিতোষ হাওলাদার বলেন, আজ  রবিবার উপজেলার কালাইয়া বাজারের ভাসমান সবজি ও ফল বিক্রেতা হানিফ মিয়ার কাছ থেকে এক কেজি বেল কিনেছেন ১৬০ টাকা দিয়ে। পরিমানে ছিল দুটা বেল। অথচ এই বেল দুটা গ্রামের হাট-বাজারে বিক্রি হয় সবোর্চ্চ ৮০ থেকে ১০০ টাকায়। তিনি বাজার মনিটরিংয়ের মাধ্যমে এ ধরনের প্রতারণা বন্ধ করার দাবি জানান।

স্থানীয়ভাবে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলায় বেলের বাণিজ্যিকভাবে কোনো চাষ না হলেও বাড়ির উঠান কিংবা আশে পাশে বা সড়কের পাশে বেল গাছ রোপন করে অথবা প্রাকৃতিকভাবে জন্মে থাকে।

এলাকার বেপাড়িরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে ঠিকা মুল্যে বেল কিনে এনে পাইকারী কেজি দরে বিক্রি করেন খুচরা বিক্রেতাদের কাছে।খুচরা বিক্রেতা হানিফ মিয়া বলেন, ‘আমরা আড়তদারের কাছ থেকে কেজি দরে কিনে এনে প্রতি কেজিতে ৫-১০ টাকা লাভে বিক্রি করি।’

তবে তিনি স্বীকার করেন, তার ব্যবসার বয়সে তিনি কখনই বেল কেজি দরে বিক্রি করেন নাই।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উপজেলার একাধিক পাইকারি ফল বিক্রেতা বলেন, গ্রামে যে পরিমান বেল পাওয়া যায়, তা দিয়ে উপজেলার চাহিদা মেটানো সম্ভব না।

তাই যশোর থেকে বেল পাইকারি কিনে এনে বিক্রি করেন। তবে তারা কেজি দরে কেনেন কি না-এমন প্রশ্ন করলে তারা কোনো প্রমাণ দেখাতে পারেননি।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকির হোসেন বলেন, বাজারে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে এগুলো নিয়ন্ত্রণ করা হবে।

 এদিকে ঢাকায় তরমুজ প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়। জানা যায়-অধিক ফলনের জন্য এ তরমুজ বীজ জাপান থেকে আমদানী করা। দেশের নিজস্ব তরমুজ এখন চোখেই পড়ে না।জাপানি বীজের এক একটি তরমুজের ওজন ৮/১০ কেজি। 

প্রশাসনের আপত্তির মুখে এখন পিস হিসেবে তরমুজ বিক্রি হলেও তা কেজির দর থেকে কোন অংশে কম নয়।

এস এস