ওয়াশিংটন ডিসির সেক্রেটারি অব স্টেট কিমবারলে ব্যাসেট বাংলাদেশ দূতাবাস প্রাঙ্গণে নবনির্মিত শহীদ মিনার উদ্বোধনের পর শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেছেন।
এ সময় বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রধানসহ শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এসময় ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের চেতনায় বায়ান্নর ভাষাশহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা এবং গোটাবিশ্বে হুমকিতে থাকা ভাষা রক্ষায় পরস্পরের সহযোগী হয়ে কাজের সংকল্প ব্যক্ত করা হয়।
দূতাবাস ভবনে বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে ভাষা দিবসের অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ, যুক্তরাষ্ট্র, আফগানিস্তান, কলম্বিয়া, রাশিয়া, নেপাল, ভারত, থাইল্যান্ড, প্যারাগুয়ে, ইউক্রেন এবং শ্রীলংকার শিল্পীরা সঙ্গীত ও নৃত্য পরিবেশন করেন।
অনুষ্ঠানে দূতাবাসের ডেপুটি চিফ মাহবুব হাসান সালেহ’র লেখা একুশের কবিতা “একুশ আমার” আবৃত্তি করেন মার্কিন কুটনীতিক ড্যানিয়েল বাকম্যান।
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন দেশের কুটনৈতিক, রাজনৈতিক, সাংবাদিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের প্রতিনিধি এবং প্রবাসী বাংলাদেশীরা অংশ নেন।
কুটনীতিকরা একুশের প্রথম প্রহরে শহীদ মিনারের পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন এবং শহীদদের স্মরণে কিছুক্ষণ নীরবতা পালন করেন।
এর আগে ভাষা শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
আলোচনাকালে রাষ্ট্রদূত জিয়াউদ্দিন বলেন, যেহেতু বাংলাদেশ ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ইউনেস্কোর স্বীকৃতি আদায়ে মুখ্য ভূমিকা পালন করছে সেহেতু বাংলাদেশকে শুধু বাংলা ভাষাই নয় পৃথিবীর অন্য ভাষাগুলোকেও সংরক্ষণের পবিত্র দায়িত্ব পালন করতে হবে।
রাষ্ট্রদূত বলেন, অন্য ভাষার প্রতি সম্মান প্রদর্শনের মাধ্যমে পারস্পরিক সমঝোতা, সহানুভূতি এবং সংলাপের ভিত্তিতে আন্তর্জাতিক সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বৃদ্ধি পেতে পারে।
সিবি/এডিবি