ন্যাভিগেশন মেনু

কক্সবাজারে রাস্তার পাশের গাছে ১০ হাজার পাখির বাসা স্থাপন


নানা কারণে হারিয়ে যাওয়া এবং বিলুপ্ত হওয়া পাখি ফিরিয়ে আনতে ও গাছে গাছে পাখির নিরাপদ বাসা নিশ্চিত করতে ‘গাছে গাছে নিশ্চিত করি পাখির নিরাপদ আবাস’ এ শ্লোগানে পরিবেশ বিষয়ক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘এনভায়রনমেন্ট পিপল’ এর একটি ব্যাতিক্রমী উদ্যোগ গ্রহন করেছে।

কক্সবাজারের সরকারি-বেসরকারি অফিস-আদালত, বাসস্থান, মসজিদ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, কবরস্থান, বাগানবাড়ি, রাস্তার পাশের গাছে ১০ হাজার পাখির বাসা স্থাপন করবে এ পরিবেশবাদী সংগঠনের কর্মীরা।

রবিবার (৪ অক্টোবর) সকালে প্রাণ-প্রকৃতির প্রতি অকৃত্রিম ভালবাসা ও পাখির প্রেমে নিজের বাংলোর গাছে গাছে পাখির বাসা নিজেই বেঁধে পাখির বাসা স্থাপন কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোঃ কামাল হোসেন।

এ সময় জেলা প্রশাসক বলেন, ‘পরিবেশ প্রকৃতি রক্ষায় পাখির ভূমিকা অপরিসীম। পরিবেশ প্রকৃতির জন্য কক্সবাজার এক অনবদ্য ভান্ডার। কিন্তু নানা কারণে পাখির সংখ্যা কমে যাচ্ছে। পাখির প্রতি ভালবাসার অংশ হিসেবে ‘এনভায়রনমেন্ট পিপল’ এর এই উদ্যোগ কক্সবাজারকে পাখির অভয়ারণ্যে পরিনত করবে বলে আশা রাখছি। এমন সৃষ্টিশীল কাজে জেলা প্রশাসন সবসময় পাশে থাকবে।’

জেলা প্রশাসকের বাংলো থেকে শুরু হওয়া এ কর্মসুচি পর্যায়ক্রমে পুরো জেলায় ছড়িয়ে দেওয়া হবে বলে জানান আয়োজকরা। এসব পাখির বাসা রক্ষণাবেক্ষণ এবং পাখি শিকার বন্ধেও কাজ করবে পরিবেশ প্রেমীরা।

এ আয়োজন নিয়ে এনভায়রনমেন্ট পিপল-এর প্রধান নির্বাহী রাশেদুল মজিদ বলেন, ‘পাখির সংখ্যা বাড়ানো ও বিলুপ্তপ্রায় পাখি ফিরিয়ে আনতে গাছে গাছে পাখির নিরাপদ বাসা নিশ্চিত করতে কাজ করছি।’

পাখির বাসা স্থাপন কার্যক্রম উদ্বোধনে উপস্থিত ছিলেন - অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোঃ আশরাফুল আফসার, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাঃ শাজাহান আলি, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ মাসুদুর রহমান মোল্লা, সহকারী কমিশনার (এনডিসি) মাখন চন্দ্র সূত্রধর, সহকারী কমিশনার মোঃ জোবায়ের হাবিব, সহকারী কমিশনার সৈয়দ মুরাদ ইসলাম, এনভায়রনমেন্ট পিপল-এর স্বেচ্ছাসেবক যথাক্রমে মুহাম্মদ হোসাইন, ওসমান গণি, আরফাতুল মজিদ, সিরাজুল ইসলাম, সাদ্দাম হোসেন, তানভীরুল মিরাজ রিপন, মোঃ নুরুল হোসাইন, শেখ কামাল, মোহাম্মদ মাসুদ রানা, মুহাম্মদ শাহজাহান, আয়াছুল আলম সিফাত।

এসএএম/এমআইআর/এডিবি