ন্যাভিগেশন মেনু

করোনা মোকাবেলায় কোকা-কোলা’র ৫ কোটি টাকা সহায়তার প্রতিশ্রুতি


দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় প্রায় ৫ কোটি টাকার সহায়তা প্রদানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় কোমলপানীয় কোম্পানি কোকা-কোলা।

প্রাণঘাতী এই ভাইরাসটির সংক্রমণ রোধের জাতীয় প্রচেষ্টায় যুক্ত হয়ে বাংলাদেশে নিজস্ব সিস্টেমের মাধ্যমে করোনা ভাইরাসের টিকা প্রদান কর্মসূচিতে সহায়তা, স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী সরবরাহ ও জনসচেতনতা তৈরির পাশাপাশি সম্মুখসারির করোনা যোদ্ধাদের মাঝে কোমল পানীয় বিতরণ করবে কোকা-কোলা। এই কর্মসূচিতে ২০ লাখেরও বেশি মানুষ উপকৃত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

এছাড়া করোনা চিকিৎসায় ব্যবহৃত কমিউনিটি হাসপাতালগুলোতে ১০ লাখ বোতল কিন্লে  (৫০০ এমএল) পানি সরবরাহের পাশাপাশি স্বাস্থ্য সুরক্ষাসামগ্রী বিতরণের মাধ্যমে সারাদেশে জনসচেতনতা তৈরি করছে কোকা-কোলা।

গত বছর করোনা মহামারির প্রথম ঢেউ বাংলাদেশে আঘাত হানার পর সরকারী প্রচেষ্টায় সহযোগিতার অংশ হিসেবে প্রায় ১১.৫ কোটি টাকার আর্থিক সহায়তা প্রদান করে কোকা-কোলা।

এই অর্থ দিয়ে দেশের নিম্নবিত্ত ও সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর ৫০ হাজারেরও বেশি মানুষকে এক মাসেরও বেশি সময়ের নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী কিনে দেয়া হয়।

এছাড়া, করোনার বিরুদ্ধে লড়াইকারী এক হাজারেরও বেশি সংখ্যক সম্মুখসারির চিকিৎসকদের জন্য ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রী (পিপিই) সরবরাহ করা হয়।

অধিকন্তু, সংক্রমণ রোধে সম্মুখসারির চিকিৎসাকর্মীদের মাঝে বিনামূল্যে খাদ্য ও কোমলপানীয় বিতরণের মাধ্যমে দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে সহযোগিতা করেছে কোকা-কোলা।

বাংলাদেশের ৫০ লাখেরও বেশি মানুষের জীবনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলাই এই ত্রাণ বিতরণ কর্মসূচির প্রধান লক্ষ্য।

কোভিড-১৯ মহামারিতে সহযোগিতার লক্ষ্যে দ্য কোকা-কোলা কোম্পানি বিশ্বব্যাপী বিশেষ ‘স্টপ দ্য স্প্রেড’ ফান্ড গড়ে তুলেছে। এই ফান্ডের মাধ্যমে টিকা প্রদান কর্মসূচিতে সাহায্য, ভাইরাস মোকাবেলায় স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী (পিপিই, মাস্ক, গ্লাভস, স্যানিটাইজার) বিতরণ, টিকা বিষয়ে জনসচেতনতা তৈরি এবং সংক্রমণ রোধে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ওপর গুরুত্ব দেয়া হয়েছে।

দেশে ৮ শতাধিক লোকের সরাসরি এবং পরোক্ষভাবে ৫ হাজারেরও বেশি মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছে কোকা-কোলা। নানা ধরনের কর্মসূচির মাধ্যমে কমিউনিটি বা সমাজকে শক্তিশালী করে তোলার ব্যাপারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য দু’টি কর্মসূচি হলো: ‘এভরি ড্রপ ম্যাটারস’ ও ‘ওয়াশ’। এই দু’টি কর্মসূচির আওতায় দেশব্যাপী বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ, স্যানিটেশন বা পয়ঃনিষ্কাশন, হাইজিন বা স্বাস্থ্যবিধি বা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা এবং স্কুলে বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের কার্যক্রম চলছে।

এছাড়া নারীদের অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে বাংলাদেশে কোকা-কোলা ‘উইমেন বিজনেস সেন্টার’ নামে তার ব্যতিক্রমধর্মী ফ্ল্যাগশিপ প্রোগ্রাম পরিচালনা করছে, যা ২০২০ সালের মধ্যে দেশটির এক লাখ নারীকে সাবলম্বী হয়ে উঠতে সহায়ক ভূমিকা পালন করেছে ।

এস এস