ন্যাভিগেশন মেনু

কাশিয়ানীতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ভাংচুর ও জমি দখলের মামলায় গ্রেপ্তার ১


গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার হাতিয়াড়ায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জমি দখল ও টিনশেড ঘর ভাঙচুরের মামলায় একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার আসামির নাম শাওবান মোল্লা (৩৫)। তিনি ওই গ্রামের আব্দুল হামিদ মোল্লার ছেলে।

শনিবার (১৯ জুন) কাশিয়ানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিজুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

ওসি জানান, হাতিয়াড়া উচ্চ বিদ্যালয়টি ১৯৯৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। রবিবার (১৩ জুন) শাওবান মোল্লা তার সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে বিদ্যালয়ের টিনশেড ঘর ভেঙে তছনছ করে দেয়। সেইসঙ্গে লুটপাট করে বিদ্যালয়ের মুল্যবান গাছ, ফ্যান ও অন্যান্য সামগ্রী। এ সময় বিদ্যালয়ের শিক্ষকসহ কমিটির লোকজন বাধা দিলে শাওবান সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে তাদের তাড়িয়ে দিয়ে ভাঙচুর চালায়।

পরে এ ঘটনার প্রতিবাদে হাতিয়াড়া উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এলাকার শত শত নারী-পুরুষ ও বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা একত্রিত হয়ে শাওবানের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ করেন।

তারা জানান, তাদের বাপ-দাদারা ছেলেমেয়েদের পড়ালেখার কথা চিন্তা করে ওই বিদ্যালয়ের নামে জমি দিয়েছিলেন। এখন সে জমি দখলের পাঁয়তারা করছেন আব্দুল হামিদ মোল্লা। আর তার ছেলে শাওবান ভেঙে দিচ্ছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।

হাতিয়াড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিশ্বজিত কুমার মৈত্র, ইউনিয়নের চেয়ারম্যান দেবদুলাল বিশ্বাস সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে ন্যায় বিচার ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়েছেন।

এ বিষয়ে কাশিয়ানী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও হাতিয়াড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মোক্তার হোসেন বলেন, কুখ্যাত রাজাকার আব্দুল হামিদের ছেলে শাওবান তার সন্ত্রাসী দোসরদের নিয়ে এলাকার নিরীহ জনগণের এবং বিদ্যালয়ের যে ক্ষতি করেছে তার কঠোর বিচার দাবি করছি। সেই সাথে শাওবানের সঙ্গী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি জাহাঙ্গীর, প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক মনিরুল ইসলামসহ আসামীদের আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানাচ্ছি।

ওসি আজিজুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে। পুলিশ অভিযান চালিয়ে শাওবান মোল্লাকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠিয়েছে।

সিবি/এডিবি/