ন্যাভিগেশন মেনু

কুমারীত্ব পরীক্ষা বন্ধ করেছে ইন্দোনেশিয়া সেনাবাহিনী


ইন্দোনেশিয়ায় নারীদের সেনাবাহিনী যোগ দিতে আর ভার্জিনিটি টেস্ট বা কুমারীত্ব পরীক্ষা দিতে হবে না। এর ফলে এখন থেকে দেশটির কয়েক দশক ধরে চলে আসা প্রথার অবসান হতে চলেছে।

দেশটির চলে আসা প্রথা অনুযায়ী তাদের কুমারীত্ব পরীক্ষা দেওয়ার বিধান আছে। তাদের হাইমেন বা সতীচ্ছদ অক্ষত আছে কিনা তা দেখার জন্য একাধিক আঙুল ব্যবহার করে এই পরীক্ষা চালানো হয়। এই পরীক্ষায় কুমারীত্ব প্রমাণ করতে ব্যর্থ হলে সেই নারীর আবেদন প্রত্যাখান করা হয়।

বিবিসি জানায়, কোনও কোনও ক্ষেত্রে এমনকী সেনাবাহিনীর অফিসার যে নারীকে বিয়ে করবেন, সেই নারীকেও একই পদ্ধতিতে প্রমাণ করতে হয় যে বিয়ের আগে তার যোনিমুখের সূক্ষ্ম পর্দা বা সতীচ্ছদ অক্ষত আছে।

মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো ইন্দোনেশিয়ার নারী সেনা নিয়োগে অপমানজনক 'কুমারীত্ব পরীক্ষা' বন্ধ করার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে। এর সাত বছর আগে ২০১৪ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) এটিকে অবৈজ্ঞানিক বলে জানিয়েছিল।

দেশটির সেনাপ্রধান জেনারেল আন্দিকা পেরকাসা বলেন, সেনাবাহিনী আর নারীদের আক্রমণাত্মক পরীক্ষার আওতায় আনবে না, যেখানে পরিদর্শকরা তাদের আঙ্গুল ব্যবহার করে হাইমেনটি অক্ষত আছে কি-না তা মূল্যায়ন করতেন।

তিনি বলেন, আবেদনকারীদের শুধুমাত্র শারীরিক প্রশিক্ষণে অংশ নেওয়ার ক্ষমতার ওপর মূল্যায়ন করা উচিত। তারা প্রমান করবে যে তাদের বর্ণান্ধতা আছে কি-না এবং তাদের মেরুদণ্ড এবং হার্টের অবস্থা ভালো কি না তা।

'এর আর প্রয়োজন হবে না। নির্বাচন প্রক্রিয়ার মূল লক্ষ্য কারো স্বাস্থ্যের অবস্থা যাচাই করে দেখা," এ মন্তব্য করে তিনি বলেন সেনা বাহিনীতে যোগদানের জন্য এই পরীক্ষা 'অবাঞ্ছিত', যােগ করেন তিনি।

সেনাপ্রধান বলেন, সেনাবাহিনী হাসপাতালের পরিচালক এবং মেডিক্যাল কর্মকর্তাদের মে মাস থেকে নতুন পদ্ধতি সম্পর্কে জানানো হয়েছে।

ইন্দোনেশিয়াতে কুমারীত্বের এই পরীক্ষা দিতে হয় শুধু নারী আবেদনকারীদের। মানবাধিকার সংগঠনগুলো বেশ কয়েক বছর ধরে এই প্রথাকে বৈষম্যমূলক এবং নিপীড়নমূলক বলে এর নিন্দা জানিয়ে আসছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ২০১৪ সালের নভেম্বর মাসে এক রিপোর্টে স্পষ্টভাবে তুলে ধরে যে এই পরীক্ষার মাধ্যমে কুমারীত্ব পরীক্ষা 'বিজ্ঞানসম্মত ভাবে অপ্রমাণিত পদ্ধতি'।

এডিবি/