ন্যাভিগেশন মেনু

কৃষিপণ্য পরিবহণে রেলে যুক্ত হচ্ছে ১২৫টি লাগেজভ্যান


অল্প খরচে কৃষিজাত পণ্য পরিবহণে বাংলাদেশ রেলওয়েতে এবার সংযোজন করা হবে অত্যাধুনিক ১২৫টি লাগেজভ্যান। যা দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে উৎপাদিত কৃষিপণ্য রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বৃহৎ নগরগুলোতে এই লাগেজভ্যানের মাধ্যমে পৌঁছানো সহজ হবে।

শনিবার (৯ জানুয়ারি) বিকেল ৫টায় চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার উথলী রেলওয়ে স্টেশন সংলগ্ন চত্বরে লাগেজভ্যানে বাণিজ্যপণ্য পরিবহন শীর্ষক ‘অংশীজন’ সভায় এ তথ্য জানান বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. শামছুজ্জামান।

তিনি বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশ রেলওয়েতে ৪১টি মিটারগেজ ও ১০টি ব্রডগেজ লাগেজভ্যান রয়েছে। এর বেশিরভাগই অনেক পুরানো। তাই এশিয় উন্নয়ন ব্যাংকের অর্থায়নে বাংলাদেশ রেলওয়ের রোলিং স্টক অপারেশন উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় নতুন করে অত্যাধুনিক ৭৫টি মিটারগেজ ও ৫০টি ব্রডগেজ লাগেজভ্যান সংযোজনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বর্তমান সরকার।

তিনি জানান, সে অনুযায়ী গত বছরের ৩১ আগস্ট বাংলাদেশ রেলওয়ে ও চিনের একটি কোম্পানির সাথে লাগেজভ্যান সংগ্রহের চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। আগামী ২০২২ সালের জুলাই থেকে লাগেজভ্যান বাংলাদেশে পৌঁছানো শুরু হবে।

তিনি আরও জানান, ৭৫টি মিটারগেজ লাগেজভ্যানের মধ্যে ৩০টি ও ৫০টি ব্রডগেজ লাগেজভ্যানের মধ্যে ৩০টি জেনারেল লাগেজভ্যানে সবুজ শাক-সবজিসহ মৌসুমি ফল ও ফুল পরিবহণের জন্য ব্যবহার করা হবে। এছাড়া ৭৫টি মিটারগেজ লাগেজভ্যানের মধ্যে ১৬টি ও ৫০টি ব্রডগেজ লাগেজভ্যানের মধ্যে ১২টি রেফ্রিজারেটেড লাগেজভ্যানে পচনশীল দ্রব্য (মাছ, মাংস, দুধ) পরিবহণের জন্য ব্যবহার করা হবে।

লাগেজভ্যানগুলো উন্নতমানের বগি সম্বলিত হওয়ার কারণে মিটারগেজ ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার এবং ব্রডগেজ ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার গতিতে চালানো হবে। এতে কৃষকরা অল্প খরচে স্বল্প সময়ে তাদের কৃষিপণ্য ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পরিবহণ করতে পারবে। লাগেজভ্যানে ট্রেনের মাধ্যমে কৃষিপণ্য পরিবহনের যদি সুযোগ সৃষ্টি হয়, কৃষক ও গ্রাহক উপকৃত হবে। যা জাতীয় অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

বাংলাদেশ রেলওয়ের পাকশী বিভাগ আয়োজিত ওই অংশীজন সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য হাজী মো. আলী আজগার টগর।

তিনি বলেন, বর্তমান রেলবান্ধব সরকার রেলওয়ের উন্নয়ন ও সম্প্রসারণের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। সে অনুযায়ী বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ চলমান।

বাংলাদেশ রেলওয়ে রাজশাহী পশ্চিমাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক মিহির কান্তি গুহের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের প্রধান প্রকৌশলী আল ফাত্তাহ মো. মাসউদুর রহমান, জীবননগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম মুনিম লিংকন, পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের প্রধান বাণিজ্যিক কর্মকর্তা আহছান উল্লা ভূইয়া, পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ের ব্যবস্থাপক শহিদুল ইসলাম, প্রধান পরিবহন কর্মকর্তা মো. নাসির উদ্দিন, প্রধান বাণিজ্যিক কর্মকর্তা ফুয়াদ হোসেন আনন্দ, বিভাগীয় প্রকৌশলী-২ বীরবল মণ্ডল, প্রধান যান্ত্রিক প্রকৌশলী মমতাজুল ইসলাম সোহান, প্রধান বৈদ্যুতিক কর্মকর্তা রিফাত শাকিল টুম্পা, সংকেত ও টেলিযোগাযোগ প্রকৌশলী রুবাইয়াৎ শরীফ প্রান্তসহ রেলওয়ের উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এস কে/ এস এ/এডিবি