ন্যাভিগেশন মেনু

খুলনায় সর্বাত্মক লকডাউন চলছে, আরও ১১ জনের মৃত্যু


করোনাভাইরাস সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় খুলনায় শুরু হয়েছে এক সপ্তাহের সর্বাত্মক লকডাউন।

মঙ্গলবার (২২ জানুয়ারি) ভোর ৬টা থেকে বন্ধ রয়েছে গণপরিবহন, মার্কেট, দোকানপাট, শপিংমল, সাপ্তাহিক হাট এবং বেসরকারি অফিস।

লকডাউনের ফলে খুলনা রেলস্টেশনে ট্রেনের আগমন ও বহির্গমন বন্ধ রয়েছে। বন্ধ রয়েছে সকল গণপরিবহন। তবে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য ও কাঁচাবাজার  সকাল ৭টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত এবং ওষুধের দোকান সার্বক্ষণিক খোলা রয়েছে। ব্যাংক সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত খোলা থাকবে।

অন্যদিকে হোটেল-রেস্তোরাঁ খোলা থাকলেও এগুলোতে বসে খাওয়া যাবে না।

এদিকে, খুলনার পৃথক তিনটি হাসপাতালে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মারা গেছেন আরও ১১ জন। এরমধ্যে খুলনা করোনা হাসপাতালে সাতজন, বেসরকারি গাজী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তিনজন ও জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটে একজনের মৃত্যু হয়েছে।

খুলনা করোনা হাসপাতালের ফোকালপার্সন ডা. সুহাস রঞ্জন হালদার আজকের বাংলাদেশ পোষ্টকে জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া ১৩০ শয্যার করোনা হাসপাতালে সকাল ৮টা পর্যন্ত ১৪৯ জন রোগী ভর্তি ছিল। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে রোগী ভর্তি হয়েছেন ২২ জন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৩৪ জন।

খুলনা মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ ডা. মেহেদী নেওয়াজ জানান, সোমবার (২১ জুন) রাতে খুমেকের পিসিআর মেশিনে ৩৭৬ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১৭৭ জনের করোনা পজিটিভ এসেছে। যার মধ্যে খুলনার ৩২৬ জনের নমুনা পরীক্ষায় নতুন করে ৮০ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে।

খুলনা জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটের মুখপাত্র ডা. কাজী আবু রাশেদ জানান, হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে ৩২ জন। এরমধ্যে ১৯ জন পুরুষ ও ১৩ জন নারী।

অপরদিকে বেসরকারি গাজী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের স্বত্বাধিকারী গাজী মিজানুর রহমান জানান, হাসপাতালে ৭৫ জন রোগী ভর্তি রয়েছে। এছাড়া হাসপাতালের আরটি পিসিআর মেশিনে নমুনা পরীক্ষায় ১৩ জনের করোনা পজিটিভ এসেছে।

খুলনার সিভিল সার্জন ডা. নিয়াজ মোহাম্মদ বলেন, খুলনায় মঙ্গলবার (২২ জুন) করোনা শনাক্তের হার ৫০ শতাংশ।

একেএইচ/সিবি/এডিবি/