ন্যাভিগেশন মেনু

গাজীপুরে কাভার্ডভ্যান চালককে গলাকেটে হত্যা


কাভার্ডভ্যান ছিনতাই করে চালককে গলাকেটে হত্যার অভিযোগে দুই ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করেছে গাজীপুর সদর থানা পুলিশ।

শুক্রবার (১২ ফেব্রুয়ারি) রাতে ছিনতাই হওয়া কাভার্ডভ্যান, হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরি উদ্ধার করা হয়।

শনিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ হেড কোয়ার্টার্সের সভাকক্ষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে উপ-পুলিশ কমিশনার মো: জাকির হাসান এ তথ্য জানান।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলো - রংপুর জেলার কোতয়ালী থানার দেওয়ানটুলি এলাকার মো: মনোয়ার হোসেনের ছেলে মো: নাজমুল হোসেন (২২) এবং গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর উপজেলার আটাবহ এলাকার মানিক চন্দ্র সরকারের ছেলে গকুল চন্দ্র সরকার ওরফে বকুল সরকার (৩০)।

মো: জাকির হাসান জানান, বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে ৬টার দিকে সদর থানা পুলিশ ন্যাশনাল পার্কের ৫নং গেইট সংলগ্ন ঢাক-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পাশ থেকে একটি অজ্ঞাত গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করে। পরে অজ্ঞাত ব্যক্তির স্ত্রী সাহেদা বেগম খবর পেয়ে লাশটি তার স্বামী কাভার্ডভ্যান চালক মুন্নাফ সরকারের (৫০) বলে সনাক্ত করেন। বর্তমানে সে গাজীপুর মহানগরের কাশিমপুর এলাকার বাসিন্দা হলেও তার বাড়ি কুমিল্লা জেলার হোমনা থানার হরিপুর গ্রামে।

সে গত বুধবার ভোরে নারায়ণগঞ্জ যাবে বলে বাসা থেকে বের হয়। এ ব্যাপারে সাহেদা বেগম সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করলে পুলিশ তদন্ত শুরু করে। পুলিশ জানতে পারে মুন্নাফ নারায়ণগঞ্জের রুপগঞ্জ থানার নান্নু স্পিনিং মিল থেকে ১২২ বস্তা সুতা নিয়ে গাজীপুরের চন্দ্রা-চৌরাস্তার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়। পথিমধ্যে পূর্ব পরিচয়ের সূত্র ধরে আসামিরা ভোগড়া বাইপাস এলাকায় কাভার্ডভ্যানে ওঠে। এরপর মন্নাফকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলাগেটে হত্যা করে মরদেহ ন্যাশনাল পার্কের ৫নং গেইট এলাকায় ফেলে রেখে কাভার্ডভ্যান নিয়ে পালিয়ে যায়।

পুলিশ আধুনিক তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ঢাকার ধামরাই এলাকা থেকে বৃহস্পতিবার রাতে কাভার্ডভ্যানটি উদ্ধার করে। পরদিন শুক্রবার পুলিশ কাশিমপুর থানাধীন জিরানী এলাকা থেকে আসামী গকুল চন্দ্র সরকারকে গ্রেপ্তার এবং তার হেফাজত থেকে লুন্ঠিত ১২২ বস্তা সুতা উদ্ধার করে।

গকুলকে জিজ্ঞাসাবাদে তার দেওয়া তথ্যমতে রাতে হত্যাকাণ্ডের মূল আসামি নাজমুল হোসেনকে (২২) গ্রেপ্তার করা হয়। আসামিরা হত্যাকাণ্ডে জড়িত বলে স্বীকার করেছে।

ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত উপ-কমিশনার থোয়াই প্রু মারমা, সদর থানার অফিসার ইনচার্জ রফিকুল ইসলাম ও ইন্সপেক্টর জাহাঙ্গীর আলম।

সিবি/এডিবি