দেশে মাদকের রাজধানী হিসেবে খ্যাত জেলা কক্সবাজারের টেকনাফে পুলিশের সঙ্গে গুলিযুদ্ধে মাদক কারবারি দুই ভাই নিহত হয়েছে। তাদের বাড়ি চট্টগ্রাম জেলার চন্দনাইশ উপজেলার কাঞ্চননগরে।
শুক্রবার রাত দেড়টার দিকে টেকনাফের চকবাজার এলাকায় এ গুলিযুদ্ধ ঘটে। চট্টগ্রামের চন্দনাইশ থেকে
টেকনাফে ইয়াবা কিনতে গেলে তারা আটক হয়। পরে তাদেরকে নিয়ে ইয়াবা উদ্ধার অভিযানে গেলে গুলিযুদ্ধ ঘটে।
ঘটনাস্থল থেকে অস্ত্র ও ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে। এ কাণ্ডে ৩ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে বলে জানান, টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ।
টেকনাফের মৌলভীপাড়ায় ইয়াবা কিনতে গেলে আজাদুল হককে আটক করা হয়। পরে তার তথ্যের ভিত্তিতে মূলহোতা বড় ভাই ফারুককে আটক করা হয়। একপর্যায়ে দুই ভাইকে নিয়ে চকবাজার এলাকায় ইয়াবা উদ্ধার অভিযানে গেলে সহযোগীরা পুলিশের ওপর এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়ে।
এএসআই মাজাহার, কনস্টেবল দ্বীন ইসলাম ও আমজাদ গুলিবিদ্ধ হয়। আত্মরক্ষায় পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে। তাদের হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে ঢাকার অদূরে টাঙ্গাইল জেলার মধুপুরে একই
পরিবারের নারী ও শিশুসহ চারজনকে নৃশংসভাবে গলা কেটে ও মাথা থেতলে হত্যা করেছে দুষ্কৃতীরা। জেলা শহরের উত্তরা আবাসিক এলাকায় গণি মিয়ার বাড়িতে এ ঘটনা। নিহতরা হলেন- গণি মিয়া (৪৫), কাজিরন ওরফে বুচি (৩৮), ছেলে তাজেল (১৭) ও মেয়ে সাদিয়া (৮)।
স্থানীয়রা জানায়, গত দুদিন ধরে বাড়িটি তালাবদ্ধ ছিল। আজ ভোরে গণি মিয়ার শাশুড়ি এসে বাইরে থেকে তালা লাগানো দেখে ডাকাডাকি করেন। সাড়াশব্দ না পেয়ে এলাকাবাসীর সহায়তায় তালা ভেঙে ভেতরে গিয়ে চারজনের লাশ পড়ে থাকতে দেখা যায়।
মধুপুর সার্কেলের এসি কামরান হোসেন বলেন, ধারণা করা হচ্ছে, দুদিন আগে তাদের হত্যা করা হয়েছে। লাশগুলো গলাকাটা ও থেতলানো। ঘটনাস্থলে ২টি এলজি, কার্তুজ ও ২০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে।
এদিকে খুলনা নগরীর খানজাহান আলী খানার মশিয়ালী এলাকায় মাদ্রাসায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে নিহত হয়েছে ৪। এখনও আহত অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন ১৪ জন।
মশিয়ালী এলাকায় দুই গ্রুপের সংঘর্ষে প্রতিপক্ষের গুলিতে বৃহস্পতিবার রাতেই গোলাম রসুল ও নজরুল নিহত হন। গুলিবিদ্ধ হন অন্তত ৮ জন। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান গুলিবিদ্ধ সাইফুল ইসলাম।
গুলির ঘটনাকে কেন্দ্র করে জিহাদ শেখ নামে অপর একজন গণপিটুনিতে নিহত হয়। কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে জাকারিয়া ও জাফরিন স্থানীয়দের ওপর গুলিবর্ষণ করেন। এ থেকে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়।
এস এস