ন্যাভিগেশন মেনু

গৃহকর্মীকে ধর্ষণ শেষে টাকাও কেড়ে নেওয়া হলো


কুমিল্লা জেলা সদরের ছায়া এবার ময়মনসিংহ জেলার ঈশ্বরগঞ্জে। এরআগে কুমিল্লায় এক গৃহকর্মীকে ধর্ষণ শেষে টাকাও কেড়ে নেওয়া হয়।

এবার সেই একই কাণ্ড ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে। একে কাজ গেল, তারওপর আবার শ্লীলতাহানী। কেড়েও নেওয়া হলো সঙ্গে থাকা অর্থকড়ি।করোনা ইস্যুতে ঢাকায় ওই নারী গৃহকর্মীর কাজ বন্ধ হয়ে যায়।

মেয়ের বাড়িতে কয়েকদিন অবস্থান করে অসুস্থ স্বামীর আবদারে ফিরছিলেন বাড়ি। পথে রাস্তার পাশ থেকে তাকে ধরে নিয়ে ধর্ষণ করা হয়। শধু তাই নয়, ওই গৃহকর্মীর সঙ্গে থাকা স্বামীর চিকিৎসার টাকাও কেড়ে নেওয়া হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার রাতে ঈশ্বরগঞ্জে এই ঘটনা। এ ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। নির্যাতিতা ওই নারী জানান, তার বাড়ি কিশোরগঞ্জের তাড়াইল উপজেলার একটি গ্রামে। ঢাকার গুলশান এলাকায় একটি বাসায় গৃহপরিচারিকার কাজ করতেন তিনি। 

করোনারভাইরাসের বিস্তার শুরু হতে থাকলে কাজ বন্ধ হয়ে যায় তার। ওই অবস্থায় গাজীপুরের টঙ্গী এলাকায় নিজের মেয়ের বাসায় কয়েকদিন অবস্থান করেন। স্বামী শারীরিকভাবে অসুস্থ থাকায় বৃহস্পতিবার সকালে বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেন। 

পথে যানবাহন সংকটে নানা ভোগান্তির মধ্যে পড়তে হয় নারীটিকে। এভাবে সন্ধ্যার কিছু পর তিনি ঈশ্বরগঞ্জের লক্ষ্মীগঞ্জ বাজারে এসে পৌঁছান। সেখানে থেকে নিজের বাড়িতে যেতে দীর্ঘ পথ বাকি থাকলেও কোনো যানবাহন পাচ্ছিলেন না। ওই অবস্থায় পায়ে হেঁটে যেতে শুরু করেন।

এক পর্যায়ে তার আকুতি শুনে তাকে বাড়ি পৌঁছাতে সহযোগিতা করছিলেন শরীফ নামে এক যুবক। তিনি জানান, লক্ষ্মীগঞ্জ বাজার থেকে কিশোরগঞ্জের দিকে যাওয়ার পথে কিছুদূর এগুতেই কয়েকজন ব্যক্তি তাদের গতিরোধ করে। 

শরীফকে মারধর করে তার মুঠোফোন ছিনতাই করে নিয়ে যায়। নানা অপবাদ দিয়ে নারীটিকে টেনে হিঁচরে নিয়ে যায় পাশের একটি জঙ্গলে। সেখানে নিয়ে সুজন মিয়া (৪২) নামের এক ব্যক্তি তাকে ধর্ষণ করে। 

এ সময় সুজনকে সহযোগিতা করে মোজাটিয়া গ্রামের শফিক মিয়া, শহীদ মিয়া ও মল্লিকপুর গ্রামের লাল মিয়া। ধর্ষণ শেষে নারীর মঙ্গে থাকা প্রায় ৯ হাজার টাকাও ছিনিয়ে নিয়ে যায়। 

পরে তিনি লক্ষ্মীগঞ্জ বাজারে এসে স্থানীয়দের জানালে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ার পারভেজ নারীর বর্ণনা শুনে খবর পাঠান পুলিশকে। একই সঙ্গে ওই এলাকায় রাত্রীকালিন মনিটরিংয়ে থাকা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জাকির হোসেনের সামনে পড়ে ওই ঘটনা। 

তিনি ওই নারীর অভিযোগ শুনে তাৎক্ষণিক অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে পুলিশকে নির্দেশ দেন। পুলিশ জানায়, রাতেই পুলিশ অভিযান চালিয়ে সুজনের সহযোগী শহীদ মিয়াকে আটক করে। শহীদ মোজাটিয়া গ্রামের আবদুল মোতালেবের ছেলে।

আর সুজন মাইজবাগ ইউনিয়নের কুমুড়িয়ারচর গ্রামের ছমেদ আলীর ছেলে। ওই ঘটনায় রাতেই নির্যাতিতা নারী বাদী হয়ে ৪ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। ওই মামলায় শহীদকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে শুক্রবার দুপুরে ময়মনসিংহ আদালতে সোপর্দ করা হয়।

এস এস