ন্যাভিগেশন মেনু

চট্টগ্রামের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার বিষয়ে বিশেষজ্ঞ কমিটির ১০ সুপারিশ


চট্টগ্রামের নবনির্মিত কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার ও তৎসংলগ্ন স্থাপনাসমূহের বিষয়ে নাগরিক সমাজের উত্থাপিত আপত্তিসমূহ সমাধানের লক্ষ্যে বিশেষত: শহীদ মিনারকে আরো দৃষ্টিনন্দন ও দৃষ্টিগোচর করতে এবং সর্ব শ্রেণির মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের উপযোগী করতে ১০টি সুপারিশ করেছে চসিকের গঠিত বিশেষজ্ঞ কমিটি৷ 

বুধবার টাইগারপাসস্থ চসিক কার্যালয়ে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরীর কাছে কমিটির সদস্যরা “জাতীয় দিবসগুলোতে সাধারণ জনগণের নিরাপদে শ্রদ্ধা নিবেদনের সুবিধার্থে প্রকল্পের দক্ষিণ পশ্চিম দিকে একটি নতুন র‍্যাম্প নির্মাণ এবং র‍্যাম্পের পেছনে দক্ষিণ পাশে কৃষ্ণচূড়া, পলাশ, শিমূল জাতীয় দেশীয় গাছ লাগানোর” পরামর্শ দেন।

এছাড়া র‍্যাম্পের সামনে একটি এসেম্বলি করা ও র‍্যাম্পের সাইড ওয়াল দুটিতে গাঁথুনী না করে ট্রান্সপারেন্ট রাখা যাতে দৃষ্টি প্রতিবন্ধকতা না হয়ে শহীদ মিনার দেখা যায়। পূর্বের শহীদ মিনারের বৃহত পরিসর শহীদ মিনারের দর্শনার্থী / সকল নাগরিকদের একত্রিত (Assemble) করার জন্য অগ্রভাগ (Porecourt) হিসাবে উন্মুক্ত, সবুজ পরিসর হিসাবে সংরক্ষণ করতে হবে জানান তারা৷ 

তাদের পরামর্শের মধ্যে আরো আছে “শহীদ মিনারের পাশ্বস্থ দুটি দেয়াল শহীদ মিনার দেখতে বাঁধাগ্রস্থ করছে। উক্ত দুটি দেয়াল অপসারণ করা এবং ১৯৭৪ সালে স্থাপিত মূল শহীদ মিনারের মূল স্থপতি আহমদ জিল্লুর চৌধুরীর পরামর্শ অনুযায়ী শহীদ মিনারের চারটি স্তম্ভ এর উচ্চতা বাড়ানো।  শহীদ মিনারের বেদিটি বর্তমান স্থান হতে আরো ১.৫ ফুট উঁচু করা। প্লাজার দুইপাশের দেয়ালগুলি উচ্চতা কিছুটা হ্রাস করা অথবা পারফোরোটেড টাইপ করে দৃশ্যমান করা। দক্ষিণ পূর্বের উন্মুক্ত মঞ্চের স্ট্রেজের পিছনে গ্রীনরুম এর দেওয়ালের উচ্চতা ফ্লোর লেভেল হতে ৬ ফুট বা স্ট্রেজ হতে ৪ ফুট রেখে অবশিষ্ট অংশ অপসারণ করা। লিলিপন্ড ওয়াটারবডি অপসারণ করা। মূল বেদীর দুই পাশে বাকানো গার্ডেন ওয়ালের উচ্চতা কমানো। পূর্ব পার্শ্বের প্রবেশ র‍্যাম্প ও সিঁড়ির মাঝস্থলের দেওয়াল অপসারণ করে পূর্ণাঙ্গ র‍্যাম্প করা।

এসময় মেয়র রেজাউল কমিটির সদস্যদের সুপারিশগুলো বিস্তারিতভাবে আলোচনা করেন৷ মেয়র সুপারিশগুলো  বিবেচনার আশ্বাস দেন।  এসময় কমিটির সদস্যদের মধ্যে গণপূর্ত অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. বদরুল আলম খান, ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ, চট্টগ্রাম কেন্দ্রের সাবেক সভাপতি প্রকৌশলী দেলোয়ার মজুমদার, একুশে পদকপ্রাপ্ত নাট্যজন আহমেদ ইকবাল হায়দার, স্থপতি আশিক ইমরান, স্থপতি সোহেল মোহাম্মদ শাকুর, চসিকের সহকারী স্থপতি আবদুল্লাহ আল ওমর তাদের বক্তব্য তুলে ছিলেন।