ন্যাভিগেশন মেনু

চট্টগ্রামের হাজারী গলিতে ৯ লাখ টাকার নস্ট ইনসুলিন ও টিটেনাস ভ্যাক্সিন জব্দ


চট্টগ্রামের বৃহত্তম ওষুধের মার্কেট হাজারী গলিতে যৌথ অভিযান চালিয়েছে জেলা প্রশাসন, ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর এবং কোতোয়ালি থানা পুলিশ। এতে ৯ লাখ টাকার নস্ট ইনসুলিন ও টিটেনাস ভ্যাক্সিন জব্দ করা হয়।

বৃহস্পতিবার সকালে চট্টগ্রাম নগরীর হাজারী গলির ছবিলা কমপ্লেক্সে অবস্থিত প্যাসিফিক ট্রেডার্স নামের একটি দোকান থেকে ৩ লাখ টাকার নস্ট ইনসুলিন জব্দ করা হয়। প্রতিটি ইনসুলিনের প্যাকেটে ইনসুলিন ২-৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করার নির্দেশনা থাকলেও তা মানা হয়নি। এসব সাধারণ তাপমাত্রায় ফেলে রাখা হয়েছিল ইনসুলিনগুলো, যার ফলে এগুলোর কার্যকরীতা অনেক আগেই নস্ট হয়ে গিয়েছে। বেশি লাভের আশায় ব্যবসায়ীরা সঠিক তাপমাত্রায় ইনসুলিনগুলো সংরক্ষণ না করে পাইকারি দরে বিক্রি করেন। অভিযানে অভিযুক্ত দোকান মালিক পল্লব বিশ্বাসকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

এরপর একই অভিযোগে নিরুপমা ড্রাগ হাউজ এবং রাজীব ড্রাগ হাউজে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে দুটি দোকান থেকে আনুমানিক আরো ৬ লাখ টাকার নস্ট ইনসুলিন জব্দ করা হয়। পাশাপাশি রাজীব ড্রাগ হাউজে প্রচুর পরিমাণ টিটিনাস এর টিকা পাওয়া যায়, যেগুলোও ২-৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করা উচিত, কিন্তু ফেলে রাখা হয়েছে সাধারণ তাপমাত্রায়। এসব অভিযোগে দুই দোকান মালিকের প্রত্যেককে ৩০ হাজার করে মোট ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

অভিযান পরিচালনাকারী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রতীক দত্ত বলেন, " সঠিক তাপমাত্রায় সংরক্ষণ না করায় তিনটি দোকান থেকে প্রায় ৯ লাখ টাকার ইনসুলিন জব্দ ও ৮০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ ছিল যে, নির্দিষ্ট কয়েকটি ফার্মেসীর ইনসুলিন কাজ করে না। প্রকৃতপক্ষে এটির ভিতর অধিকাংশ ইনসুলিন লাগেজে করে বিদেশ থেকে আসা। এগুলো অননুমোদিত। বাইরে থেকে আনার সময় তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয় না, ফলে সেগুলোর কার্যকারিতা তখনই শেষ হয়ে গেছে।"
অভিযানে সার্বিক সহযোগিতা করেন ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর এর সহকারী কমিশনার সুলতানুল আরেফীন এবং কোতোয়ালি থানার উপ-পরিদর্শক মো: মেহেদী হাছান।