ন্যাভিগেশন মেনু

চট্টগ্রামে ১৬ আসনে উৎসবমুখর পরিবেশে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে বিজয়ীরা


দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে।  ভোটের ফলাফলে ভূমিধ্বস বিজয় পেয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। দল হিসেবে আসন প্রাপ্তিতে দ্বিতীয় অবস্থানে আছে জাতীয় পার্টি। তবে এবারের নির্বাচনে বেশিরভাগ জয় পেয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা।

উৎসবমুখর ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি ছিল স্বাভাবিক। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রামের ১৬ আসনে ১২৫ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। মোট ভোটার ৬৩ লাখ ৭ হাজার ৯৯৫ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৩২ লাখ ৮২ হাজার ২৫৫ জন ও মহিলা ৩০ লাখ ২৪ হাজার ৬৮৪ জন
চট্টগ্রাম-১ বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মাহবুব উর রহমান রুহেল জয়ী। তিনি ৮৯ হাজার ৬৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী গিয়াস উদ্দিন (ঈগল) পেয়েছেন ৫২ হাজার ৯৯৬ ভোট।

চট্টগ্রাম-২ ফটিকছড়ি আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী খাদিজাতুল আনোয়ার ১ লাখ ৬৮৫ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রতীকের প্রার্থী আবু তৈয়ব পেয়েছেন ৩৬ হাজার ৫৬৬ ভোট।

চট্টগ্রাম-৩ (সন্দ্বীপ) আসনে ৫৪ হাজার ৭৫৬ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মাহফুজুর রহমান মিতা। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) এর সভাপতি ডা. জামাল উদ্দিন চৌধুরী পেয়েছেন ২৮ হাজার ৭০ ভোট।

চট্টগ্রাম-৪ আসনে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী এস এম আল মামুন পেয়েছেন ১ লাখ ৪২ হাজার ৭০৮ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী লাঙ্গল প্রতীকের জাতীয় পার্টির প্রার্থী দিদারুল কবির পেয়েছেন ৪ হাজার ৮৮০ ভোট।

চট্টগ্রাম-৫ (হাটহাজারী) আসনে জাতীয় পার্টির ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ। লাঙ্গল প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৬ হাজার ৫৬২ ভোট। তার নিকটতম ‘আওয়ামী’ স্বতন্ত্র প্রার্থী মুহাম্মদ শাহজাহান চৌধুরী (কেটলি) পেয়েছেন ৪ হাজার ৮৬২ ভোট।

চট্টগ্রাম-৬ রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী। বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী এ আসনে ভোট পড়েছে ৭২ দশমিক ৭২ শতাংশ। তিনি পেয়েছেন ২ লাখ ২১ হাজার ৫৭২ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী শফিউল আজম পেয়েছেন ৩ হাজার ১৫৯ ভোট। জাতীয় পার্টির লাঙল প্রতীকের প্রার্থী মোহাম্মদ সফিক-উল আলম চৌধুরী পেয়েছেন ২ হাজার ৬৫৪ ভোট।

চট্টগ্রাম-৭ আসনে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এমপি। বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী তিনি এই আসন থেকে ১ লাখ ৯৮ হাজার ৯৭৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইসলামী ফ্রন্টের প্রার্থী অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ ইকবাল হাছান (মোমবাতি) পেয়েছেন ৯ হাজার ৩০১ ভোট।

চট্টগ্রাম-৮ (বোয়ালখালী-চান্দগাঁও) আবদুস ছালাম এই আসনে ৭৮ হাজার ২৬৬ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী বিজয় কুমার চৌধুরী (ফুলকপি) পেয়েছেন ৪১ হাজার ৫০০ ভোট। এছাড়া, জাতীয় পার্টির সভাপতি সোলায়মান আলম শেঠ ৮ হাজার ২৩৫।

চট্টগ্রাম-৯ আসনে বেসরকারিভাবে জয়ী হয়েছেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী, শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। তিনি পেয়েছেন ১ লাখ ৩০ হাজার ৯৯৩ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির লাঙল প্রতীকের প্রার্থী সনজিদ রশিদ চৌধুরী পেয়েছেন ১ হাজার ৯৮২।  

চট্টগ্রাম-১০ (ডবলমুরিং, পাহাড়তলী, খুলশী, হালিশহর) আসনে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মো. মহিউদ্দিন বাচ্চু পেয়েছেন ৫৯ হাজার ২৪ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি ফুলকপি প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক সিটি মেয়র এম মনজুর আলম পেয়েছেন ৩৯ হাজার ৫৩৫। 

চট্টগ্রাম-১১ (বন্দর-পতেঙ্গা) আসনে ৫১ হাজার ৪৯৪ পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী হয়েছেন এম এ লতিফ। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ‘আওয়ামী’ স্বতন্ত্র প্রার্থী কেটলি প্রতীকে জিয়াউল হক সুমন পেয়েছেন ৪৬ হাজার ৫২৫ ভোট।
 
চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া) আসনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরীর ১ লাখ ২০ হাজার ৩১৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সামশুল হক পেয়েছেন ৩৫ হাজার ২৪০ ভোট।
চট্টগ্রাম-১৩ (আনোয়ারা-কর্ণফুলী) আসনে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ। এনিয়ে চতুর্থবারের মতো সংসদ সদস্য হলেন তিনি। তিনি পেয়েছেন ৬০ হাজার ৭৯ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইসলামী ফ্রন্টের মাস্টার আবুল হোসেন (মোমবাতি) পেয়েছেন এক হাজার ৬৬১ ভোট।

চট্টগ্রাম-১৪ (দোহাজারী) বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরী পেয়েছেন ৭১ হাজার ১২৫ ভোট। নিকটতম প্রার্থী ট্রাক প্রতীকের মো. আবদুল জাব্বার চৌধুরী পেয়েছেন ৩৬ হাজার ৮৮৪ ভোট।

চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছেন ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল মোতালেব। তিনি এই আসন থেকে ৮৫ হাজার ৬২৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকা প্রতীকের পেয়েছেন ৩৯ হাজার ২৫২ ভোট।  

চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী) আসনে প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন মুজিবুর রহমান। তিনি ৫৭ হাজার ৪৯৯ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী (ট্রাক) ৩২ হাজার ২২০ ভোট।
চট্টগ্রামের ১৬টি আসনে এবার মোট ভোটার ৬৩ লাখ ১৪ হাজার ৩৯৭ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৩২ লাখ ৮৯ হাজার ৫৯০ জন, নারী ভোটার ৩০ লাখ ২৪ হাজার ৭৫১ জন ও তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার ৫৬ জন