ন্যাভিগেশন মেনু

চট্টগ্রাম থেকে প্রথমবার 'বিশেষ ট্রেন' যাত্রী নিয়ে গেল কক্সবাজার


প্রতিবছর ঈদের ছুটিতে গাড়ি সংকট, অতিরিক্ত ভাড়া ও যানজটসহ নানা ভোগান্তি পেরিয়ে বাড়ি ফেরেন দক্ষিণ চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের মানুষ।

প্রথমবার ট্রেনে চড়ে ঈদে বাড়ি যাতায়াতের সুযোগ পাবেন দক্ষিণ চট্টগ্রামের লোকজন। এতে সড়ক পথে বাড়ি ফেরা মানুষের চাপও কিছুটা কমবে। তকক্সবাজার এক্সপ্রেস ও পর্যটক এক্সপ্রেসে চড়ে প্রতিদিন চট্টগ্রাম থেকে সরাসরি কক্সবাজার যাওয়ার সুযোগ পান মাত্র ১১৫৫ জন। এবার ঈদ যাত্রায় সেটি কয়েকগুণ বাড়বে।

তাই ঈদযাত্রা স্বস্তি ও আরামদায়ক করতে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে প্রথমবারের মতো ঈদ স্পেশাল ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে।

সোমবার (৮ এপ্রিল) প্রথম ট্রেনটি সকাল ৭টায় চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন থেকে রওনা হয়। ট্রেনটি ১০টা ২০ মিনিটে কক্সবাজার আইকনিক রেলওয়ে স্টেশন পৌঁছেছে।

প্রথমবারের মতো চট্টগ্রাম থেকে বিভিন্ন স্টেশনে যাত্রা বিরতি করায় খুশি যাত্রীরা। এতে সবার মাঝে স্বস্তির অনুভূতি ছিল অসাধারণ।
রেলওয়ের কক্সবাজারের স্টেশন মাস্টার গোলাম রব্বানী জানান, ঢাকা-কক্সবাজার পর্যন্ত নতুন রেললাইন হওয়ায় পর এটা প্রথম ঈদ। এ প্রথম ঈদেই আমরা স্পেশাল ট্রেন সেবা দিতে পাচ্ছি চট্টগ্রাম-কক্সবাজার ও কক্সবাজার-চট্টগ্রাম রুটে। এ দুইটা ঈদ স্পেশাল-৯ ও ১০ নামে চলাচল করবে। ট্রেনটি ষোলশহর, জানালীহাট, পটিয়া, দোহাজারী, সাতকানিয়া, চকরিয়া, ডুলাহাজারা ও রামু হয়ে আটটি স্টেশনে যাত্রা বিরতি দেয়। প্রথমদিনে ৮টি স্টেশনে বিরতি দিয়ে যাত্রী উঠা-নামার সকল যাচাইয়ের কারণে ১৫ মিনিটি দেরিতে পৌঁছেছে। ট্রেনটি সন্ধ্যা ৭টায় একইভাবে কক্সবাজার থেকে ছেড়ে রাত ১০টা ৫ মিনিটে চট্টগ্রামে পৌঁছাবে।

তিনি বলেন, ট্রেনটি আজ থেকে ঈদুল ফিতরের আগেরদিন পর্যন্ত এবং ঈদুল ফিতরের পরের দিন থেকে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত চলবে। আবার ১৫ ও ১৬ এপ্রিলের দু’দিন বন্ধের পর ১৮ এপ্রিল পর্যন্ত চলাচল করবে। ১০ টি কোচের ৪৩৮ সিটের ট্রেনটিতে প্রথম শ্রেণির সিটের (চেয়ার) ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ৩৪০ টাকা এবং শোভন সিটের ভাড়া ১৮৫ টাকা।

তিনি আরও বলেন, 'কমিউটার ট্রেন এবং আন্তঃনগর ট্রেন কক্সবাজার পর্যন্ত আরও ৩টি এক্সটেনশন হওয়ার সম্ভাবনা হয়েছে। এরমধ্যে মহানগর, তূর্ণা এবং চাঁদপুর থেকে মেঘনা ট্রেন কক্সবাজার পর্যন্ত এক্সটেন্ড হতে পারে।'

এদিকে কক্সবাজার রুটে বাণিজ্যিক ট্রেন চলাচল শুরু হয় গত ১ ডিসেম্বর থেকে। বিপুল যাত্রী চাহিদা থাকলেও গত চার মাস ধরে ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে চলাচল করছে মাত্র দুটি ট্রেন।

ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে চলাচল করা কক্সবাজার এক্সপ্রেস ও পর্যটক এক্সপ্রেস বিরতিহীন হওয়ায় দক্ষিণ চট্টগ্রামের মানুষ দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইনের সুফল পায়নি। এমন প্রেক্ষাপটে এবারের ঈদ যাত্রায় এই রুটে দুটি বিশেষ ট্রেন চালানোর স্বস্তির দিয়েছে রেলওয়ে।

তাছাড়া আগামী জুনের মধ্যে ঢাকা-কক্সবাজার রুটে আরও ৩টি ট্রেন এবং চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে কমিউটার ট্রেন চালুর আশা করছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।
 

রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের এমন উদ্যোগ পর্যটন শিল্পের বিকাশে ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।