ন্যাভিগেশন মেনু

চাঁদপুরে নৌ যাত্রীদের নিরাপত্তায় তৎপর নৌ পুলিশ


পবিত্র ঈদুল আযহায় নৌপথে যাত্রীদের নিরাপত্তা ও যাতায়াত নির্বিঘ্ন করতে কাজ করছে চাঁদপুর নৌ পুলিশের ১৪ টি বিশেষ টিম। যারা লঞ্চঘাট, হরিণা ফেরিঘাট, ট্রলারঘাট এবং কোরবানির পশু পারাপারে যাত্রীদের নিরাপত্তা দিচ্ছে।

নৌ পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নৌপথে চাঁদাবাজি, মলমপার্টি, চুরি, ছিনতাই, অশালীন আচরণ রোধসহ নানা অভিযোগের বিরুদ্ধে এ টিমগুলো সতর্ক থেকে কাজ করছে।

চাঁদপুর লঞ্চঘাটে গিয়ে জানা যায়, পবিত্র ঈদুল আযহাকে কেন্দ্র করে লঞ্চঘাট এলাকায় চুরি, ছিনতাই, পকেটমার, মলমপার্টি বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। কেন না; নৌপথের এ রুটে ঈদে যাত্রী আসা যাওয়াকে কেন্দ্র করে ঢাকা, চাঁদপুরসহ দক্ষিণাঞ্চলের যাত্রীদের যাতায়াত বেড়ে যায়। নদীপথকে শান্তিপূর্ণ ও নিরাপদ পথ হিসেবে অধিকাংশ যাত্রী নৌপথে যাতায়াত স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। লঞ্চঘাটে যাত্রীদের ভিড় এ সময়ে বেশি হয়। এ সুযোগে তৎপর হয়ে ওঠে অপরাধীরা।

ঈদের দিন থেকে এখন পর্যন্ত কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। কোন নৌ-দুঘটনা হয়নি।

চাঁদপুর নৌ থানার অফিসার ইনচার্জ জাহিদুল ইসলাম জানান,  ঈদের আগে এবং পরে যাত্রীদের নিরাপত্তায় অতিরিক্ত ফোর্স মোতায়েনসহ স্পিডবোট, কান্ট্রিবোট নিয়ে নদীতে টহলব্যবস্থা জোরদার  রয়েছে। যা ঈদের পরেও চলবে। 

এদিকে, চাঁদপুরে নৌপথে যাত্রীদের যাতায়াত নির্বিঘ্ন করার লক্ষ্যে চাঁদপুর লঞ্চঘাট পরিদর্শন করেছেন নৌ মন্ত্রণালয়ের  সিনিয়র যুগ্ম সচিব, জেলা প্রশাসন, নদীবন্দর থানা পুলিশের কর্মকর্তাগণ। 

লঞ্চঘাট এলাকায় যাত্রীদের সুবিধা-অসুবিধার বিভিন্ন দিক ঘুরে দেখেন নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র যুগ্ম সচিব মো. নজরুল ইসলাম। পাশাপাশি সেখানে মোবাইল কোর্টের অভিযান পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সামিউল ইসলাম। তিনি বিভিন্ন লঞ্চের মাস্টার-সুপারভাইজারদের সাথে কথা বলেন এবং তাদেরকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা ও অতিরিক্ত যাত্রী বহন না করতে সতর্ক করেন।

এডিবি/