ন্যাভিগেশন মেনু

চাক শ্যুমারকে ‘বছরের সেরা সিনেটর’র পুরষ্কার দিলেন প্রবাসীরা


যুক্তরাষ্ট্র সিনেট বিরোধী দলীয় নেতা নিউইয়র্কের সিনেটর চাক শ্যুমারকে বছরের ‘সেরা সিনেটর’ অ্যাওয়ার্ড দিলেন বাংলাদেশি আমেরিকানরা। শ্যুমার বলেন,সিনেটে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলে বাংলাদেশিদের যুক্তরাষ্ট্রে আসার সুযোগ বাড়বে

 শনিবার (১১ জানুয়ারি) রাতে নিউইয়র্ক সিটির কুইন্সে একটি পার্টি হলে সর্বস্তরের প্রবাসীদের এক যৌথ সমাবেশের আয়োজন করা হয়। এই সমাবেশের যৌথ-আয়োজক ছিল ‘নিউ আমেরিকান ডেমক্র্যাটিক ক্লাব’, ‘নিউ আমেরিকান ইয়ুথ ফোরাম’ এবং ‘নিউ আমেরিকান উইমেন্স ফোরাম’।

ডেমক্র্যাটিক পার্টির তৃণমূলের সংগঠন হিসেবে ১৯৯৬ সাল থেকে কর্মরত এসব সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা মোর্শেদ আলম (৬৩)। তারই আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে এই প্রথম কোন ইউএস সিনেটরের বাংলাদেশীদের অনুষ্ঠানে আগমণ ঘটলো।

সিনেটর শ্যুমারও আনন্দে আত্মহারা বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার নেতৃস্থানীয়দের বিপুলসমাগম দেখে। দু’হাত উঁচুতে উঠিয়ে অ্যাওয়ার্ড সকলকে দেখিয়ে সিনেটর শ্যুমার বলেন, ‘এই সম্মান আমাকে আরো অভিবাসন-বান্ধব হতে উৎসাহিত করবে’।

 অনুষ্ঠানের প্রধান পৃষ্ঠপোষক রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেন এবং ইয়ুথ ফোরামের প্রেসিডেন্ট আহনাফ আলমকে পাশে নিয়ে মোর্শেদ আলম সিনেটর শ্যুমারকে এই পুরষ্কার প্রদান করেন।

এ সময় মঞ্চে ছিলেন নিউইয়র্কে বাংলাদেশের কন্সাল জেনারেল সাদিয়া ফয়জুননেসা, কংগ্রেসওম্যান গ্রেস মেং এবং ইভ্যাটি ডি ক্লার্কসহ নিউ আমেরিকান ডেমক্র্যাটিক ক্লাবের অন্যতম ভাইস প্রেসিডেন্ট মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফা খান মিরাজ এবং খোরশেদ খন্দকার।

১৯৯৮ সাল থেকেই নির্বাচিত সিনেটর চাক শ্যুমার (৬৯) পুরষ্কার গ্রহণের প্রাক্কালে প্রদত্ত বক্তব্যে বাংলাদেশিদের প্রশংসা করে বলেন, ‘আমার মত সকলেই আমেরিকায় এসেছেন নিজের ভাগ্য গড়তে। পাশাপাশি নিষ্টার সাথে দায়িত্ব পালনের মধ্যদিয়ে তারা এই আমেরিকাকে গড়েছেন।

 তিনি বলেন,আমি সবচেয়ে আনন্দিত যে, বাংলাদেশিদের সন্তানেরা খুব ভালো রেজাল্ট দেখাচ্ছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। সে আলোকে আমি দৃঢ়ভাবে আশাবাদী যে, বাংলাদেশি বংশোদ্ভূতরাও একদিন হোয়াইট হাউজ এবং কংগ্রেসে আসন নিতে সক্ষম হবে।’

সিবি/ এস এস