ন্যাভিগেশন মেনু

চিতাবাঘ মেরে মাংস খাওয়ার দায়ে পাকড়াও ৫


কয়েকমাস আগে গর্ভবতী একটি হাতিকে বাজি ভরতি আনারস খাইয়ে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছিল ভারতের কেরলে। পরে এই ঘটনার কথা জানাজানি হতেই নিন্দার ঝড় বয়ে যায় দেশজুড়ে।

ফের   একই ধরনের নৃশংস ঘটনার সাক্ষী হল ঈশ্বরের আপন দেশ হিসেবে পরিচিত কেরলের বাসিন্দারা। একটি চিতাবাঘকে মেরে তার মাংস খাওয়ার অভিযোগ উঠল পাঁচ ব্যক্তির বিরুদ্ধে। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

শুক্রবার কেরলের বনদপ্তরের আধিকারিকদের কাছে খবর আসে যে ইড্ডুকি  জেলার মানকুলাম এলাকার বিনোদের নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে চিতাবাঘের মাংস রান্না করে খাওয়া হয়েছে।

এরপরই সেখানে হানা দিয়ে ১০ কেজি রান্না না হওয়া চিতাবাঘের মাংস, তার গায়ের ছাল ও দাঁত বাজেয়াপ্ত করা হয়। গ্রেপ্তার হয় পাঁচ অভিযুক্ত ভিপি কুরিয়াকোসে (৭৪), সালি কুঞ্জাপ্পান(৫৪) সিএস বিনু (৫০), ভিনসেট (৫০) ও বাড়ির মালিক বিনোদ পিকে (৪৫)-কে। ধৃতদের প্রত্যেকের বাড়ি মানকুলাম এলাকায়।

বনদপ্তরের তরফে জানানো হয়েছে, কয়েকদিন আগে বিনোদ ও কুরিয়োকোসে কেরলের মানকুলারের কাছে অবস্থিত মুনিপারা   জঙ্গল থেকে ১০০ মিটার দূরে একটি ব্যক্তিগত জমিতে ফাঁদ পেতে ছিল।

বুধবার সকালে তাতে পড়ে যায় ৬ বছরের একটি চিতাবাঘ। তারপর অভিযুক্তরা ওই চিতাবাঘটিকে বিনোদের বাড়িতে নিয়ে গিয়ে তাকে হত্যা করে মাংস রান্না করে খায়।

পুলিশ সূত্রে খবর, ওই চিতাবাঘটি বিনোদের একটি ছাগলকে মেরেছিল। সেই রাগে ফাঁদে ফেলে তাকে হত্যা করে খেয়েছে বলে জানায় বিনোদ ও বাকি অভিযুক্তরা।

তাদের নামে ১৯৭২ সালে তৈরি হওয়া বন্যপ্রাণ নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। বিচারে দোষী সাব্যস্ত হলে ধৃতদের সাত বছরের কারাদণ্ড হবে।

এস এস