ন্যাভিগেশন মেনু

চিনের সহায়তায় রাখাইনে হবে সমুদ্রবন্দর


চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং শুক্রবার দুই দিনের সফরে মায়ানমার গিয়েছেন। ক্ষমতায় আসার পর শি জিনপিংয়ের প্রথম সফর এটি। আর ১৯ বছর পর চিনের কোনও প্রেসিডেন্টের মায়ানমার সফর এটি।

শি জিনপিংয়ের এই সফরকে চিনের গ্লোবাল বেল্ট ও রোড উদ্যোগের অংশ হিসেবে দেখছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা।মায়ানমারের ডেপুটি বাণিজ্যমন্ত্রী অং জেঁইয়ের বরাতে প্রতিবেদনে বলা হয়, জিনপিং তার সফরে মায়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর অং সান সু চি, প্রেসিডেন্ট উইন মিনত ও সেনাপ্রধান মিন অং হ্লাইংয়ের সঙ্গে বৈঠক করবেন।

তাদের এই বৈঠকে চামসু বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগ ও রাখাইন রাজ্যে ১৩০ কোটি ডলার ব্যয়ে গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণে চুক্তি হওয়ার কথা রয়েছে। এছাড়া প্রায় হাজার কোটি ডলারের বিনিয়োগ চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হতে পারে।

বৈঠকগুলো শনিবার রাজধানী নেইপিদোতে অনুষ্ঠিত হতে পারে। ২০১৩ সালে ক্ষমতায় আসেন শি জিনপিং। ইতোমধ্যে আসিয়ানভুক্ত সব দেশ সফর করেছেন তিনি। শুধু বাকি ছিল মায়ানমার।

বিশ্লেষকরা বলছেন, ঐতিহাসিক এই সফরের মাধ্যমে মূলত মায়ানমারকে কাছে পেতে চাইছে চীন। আর এটা চিনের স্বার্থেই-গ্লোবাল বেল্ট ও রোড উদ্যোগেরই অংশ।২০১৭ সালে মায়ানমার সেনাবাহিনীর কঠোর অভিযানে ৭ লাখ ৩০ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছেন।

রাষ্ট্রসংঘের তদন্তকারী কর্মকর্তারা বলেন, অভিযানে ১০ হাজার মানুষকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে। রাখাইনে মায়ানমারের গণহত্যার অভিযোগ এনে দেশটিকে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসি) দাঁড় করিয়েছে গাম্বিয়া। এমতাবস্থায় আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অনেক চাপে রয়েছে মায়ানমার।

সেই মুহূর্তে প্রেসিডেন্টের এই সফর দেশটির পাশে দাঁড়ানোরই শামিল চিনের। গত বছরের শেষ দিকে আন্তর্জাতিক আদালতে গাম্বিয়ার মামলার পর মায়ানমার চিনের সঙ্গে আরও সম্পর্ক জোরদার করতে থাকে।

রাখাইনে রোহিঙ্গাদের নির্যাতন করে বাস্তুচ্যুত করার সময়ও চিনের ভূমিকা ছিল কার্যত মায়ানমারের পক্ষেই। তবে জিনপিংয়ের এই সফরে রোহিঙ্গা ইস্যুতে কোনো আলোচনা হবে কিনা তা জানা যায়নি।

এদিকে ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদন বলা হয়েছে, রাখাইনে গভীর সমুদ্রবন্দর ও পূর্ব থেকে পশ্চিমে দ্রুতগামী ট্রেন চলাচলের মাধ্যমে মায়ানমারের চেহারা বদলে যেতে পারে।

এস এস