ন্যাভিগেশন মেনু

চীনের উন্নয়নের মধ্যে নতুন সুযোগ খুঁজে পাচ্ছে আফ্রিকা


গত ৩ নভেম্বর চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং বেইজিং সফররত তানজানিয়ার প্রেসিডেন্ট সামিয়াসুলুহু হাসানের সঙ্গে বৈঠকে মিলিত হয়েছেন। এ সময় দুই প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করেন, চীন-তানজানিয়া সম্পর্ক সার্বিক কৌশলগত অংশীদারিত্বের সম্পর্কে উন্নীত করা হবে। দু’পক্ষ এক যৌথ বিবৃতি এবং ধারাবাহিক সহযোগিতামূলক চুক্তি স্বাক্ষর করে।

নতুন পরিস্থিতিতে চীন-তানজানিয়া সম্পর্কের উন্নয়ন দুদেশের অভিন্ন ও দীর্ঘকালীন স্বার্থের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ এবং নতুন যুগে চীন-আফ্রিকা অভিন্ন ভাগ্যের কমিউনিটি গঠনের জন্য অর্থবহ।

সিপিসির বিংশতম জাতীয় কংগ্রেসের পর আফ্রিকার নেতা হিসেবে প্রথম চীনে সফরে আসেন তানজানিয়ার প্রেসিডেন্ট। তা ঘনিষ্ঠ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের প্রতিফলন। পাশাপাশি, তানজানিয়ার ভাল অংশীদার হিসেবে চীন দীর্ঘ সময়ে তানজানিয়ায় বিনিয়োগ ও সহায়তা প্রকল্প বাস্তবায়ন করে আসছে। যৌথ বিবৃতি অনুযায়ী, তানজানিয়া থেকে চীনে ৯৮ শতাংশ পণ্য শুল্কমুক্ত রপ্তানি সুবিধা ভোগ করবে।

বর্তমানে বিশ্ব অস্থিতিশীল ও পরিবর্তিত সময়ে রয়েছে। বিশ্বের বৃহত্তম উন্নয়নশীল দেশ হচ্ছে চীন, আর আফ্রিকা হচ্ছে উন্নয়নশীল মহাদেশ। চীন-আফ্রিকা সহযোগিতা দু’পক্ষের মৌলিক স্বার্থের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ এবং বিশ্বের ন্যায্যতা এবং ন্যায় বিচার রক্ষা এবং বিশ্বের টেকসই উন্নয়নের জন্য অর্থবহ।

নিজেদের পুনরুত্থানের উপায় খুঁজছে আফ্রিকা এবং চীনা বৈশিষ্ট্যের আধুনিকায়ন থেকে তারা অভিজ্ঞতা লাভ করতে পারে। পাশাপাশি, চীনের উন্মুক্তকরণ তাদের উন্নয়নের জন্য সুযোগ সৃষ্টি করেছে।

আফ্রিকায় একটি প্রবাদ প্রচলিত রয়েছে যে, একা একা চললে দ্রুত যেতে পারবে; তবে, সবাই একসঙ্গে চললে বহুদূর যেতে পারবে। প্রায় ২৭০ কোটি চীনা ও আফ্রিকান জনগণ ঐক্যবদ্ধ থেকে কাজ করলে আরও সুন্দর ভবিষ্যৎ সৃষ্টি করতে পারবে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। (সূত্র: সিএমজি)