ন্যাভিগেশন মেনু

চুয়াডাঙ্গার কৃষকরা আগাম ফুলকপির বীজতলা তৈরীতে ব্যস্ত


চুয়াডাঙ্গায় নানা ধরণের সবজির চাষ হয়ে থাকে। যা দেশের সবজির চাহিদা মেটাতে বেশ ভুমিকা রেখে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় ফুলকপি চাষের জন্য বীজতলা তৈরীর হিড়িক পড়ে গেছে।

ইতোমধ্যে চাষীরা আগাম ফুলকপি আবাদের জন্য বীজতলা তৈরীর প্রাথমিক পর্যায়ের কাজ শুরু করেছেন আবার কেউ কেউ বীজতলা তৈরীর কাজ শেষ করেছেন।

জেলার বিভিন্ন গ্রামের আগাম সবজি চাষীরা ভিন্ন ভিন্ন জাতের সবজি চাষ করে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হচ্ছেন। বৈরী আবহাওয়ার মধ্যেও সবজি চাষিরা আগাম বীজতলা তৈরি করতে মাঠে ব্যস্ত সময় পার করছেন।

চুয়াডাঙ্গার উত্তরচাঁদপুর গ্রামের সাবেক মেম্বার ফুলকপি চাষী আঃ আলীম বলেন, ‘গ্রামের পশ্চিম মাঠে সাড়ে ৩ বিঘা জমিতে আগাম জাতের ফুলকপির বীজতলা তৈরির কাজ এক সপ্তাহ আগে শেষ করেছি। এবার ১০ হাজার টাকার মতো বীজতলায় খরচ হয়ে গেছে। এই বীজ দিয়ে ৪ বিঘা জমিতে আগাম জাতের ফুল কপির চাষ করবো। বীজতলার কোন ক্ষতি না হলে সাড়ে চার বিঘা জমিতে লক্ষাধিক টাকা খরচ করলেও বাজার দর ভাল পেলে প্রায় সাড়ে তিন লাখ টাকার লাভের আশা করছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘অসময়ে আগাম এই বীজতলা তৈরীতে খরচের মাত্রা সব সময় বেশি হয়ে থাকে। টানা বৃষ্টি না হলে বিজতলা ঠিক থাকবে। অতি বৃষ্টিতে বিজতলা ঠিক রাখতে পলিথিনের মোড়ক দিয়ে ঢেকে দিতে হয়।  গ্রামের উৎপাদিত সবজি নিজস্ব প্রযুক্তি, পরিচর্যা, সার  ও ছত্রাকনাশক ওষুধ নিজেরাই প্রয়োগ করে থাকি। গ্রামের সবজি চাষিরা দল বেঁধে উৎপাদিত সবজি ট্রাকভর্তি করে ঢাকায় পাইকারীসহ দেশের বিভিন্ন মোকামে বিক্রি করে থাকে।‘

তিনি জানান, এ বছর বৈরী আবহাওয়ার কারণে বীজতলা তৈরি করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। বীজতলায় বীজ ছড়ানোর পর ৩০ দিনের মধ্যে জমিতে চারা রোপন করতে হবে।

গ্রামের  ছবেদ আলী, আবু তাহের, রমজান আলী, জাকির হোসেনসহ অনেকে ফুলকপির বীজ সংগ্রহ করে বর্ষার ঝুঁকির মধ্যে এবার বীজতলা তৈরি করে  মাঠে বীজ তলা নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন।

স্থানীয় সুফলা বীজ ভান্ডারের  স্বত্তাধিকার আজিজুল হক বলেন, ‘বাজারে নানা জাতের কপি বীজ পাওয়া যায়। তবে শীত মৌসুমে এ বীজের খুব চাহিদা থাকে। অসময়ে এ আবাদ করতে খরচের মাত্রা বেশী হয়ে থাকে। উৎপাদন খরচের তুলনায় বাজার দর বেশী থাকার কারনে চাষীরা আগাম কপির আবাদ করেন।’

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মনিরুজাম্মান বলেন, ‘এ এলাকার  মাটি সব ধরনের ফসলের জন্য উপযুক্ত। অসময়ে এ ফুলকপির আবাদ করতে কৃষককে নানা প্রতিকুলতার সম্মুখীন হতে হয় যেমন- সেচ, সার, কীটনাশক ও ছত্রাকজনিত বালাইনাশক নিয়মিত স্প্রে করার কারনে মৌসুমী সবজি চেয়ে এ আবাদের খরচ বেশি পড়ে যায়। প্রতিকুল আবহাওয়ায় কৃষকের নজরদারি কমতি হলে অসময়ের এ সবজির পুরো ক্ষেত নষ্ট হয়ে যেতে পারে। কৃষি অফিস  আগাম জাতের এ জাতীয় সবজির আবাদের জন্য সার্বিকভাবে সব ধারনের পরামর্শ সহযোগিতা করছে থাকে। আবার অসময়ের এ সবজির আবাদ ভাল হলে কৃষক আশানুরুপভাবে লাভবান হয়ে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিতে পারে।’

এনআই/এমআইআর/ এডিবি