ন্যাভিগেশন মেনু

চুয়াডাঙ্গার রাবানির কারিগরা কাটাচ্ছে ব্যস্ত সময়


নদীমাতৃক দেশ বাংলাদেশ। আর নদী-নালা, খাল-বিল এবং উন্মুক্ত জলাশয়ের এক সময় প্রচুর মাছ পাওয়া যেতো। বাঙ্গালির বাঙ্গালিয়ানা ছিলো মাছে-ভাতে। এসব জলাশয়ের জাল, রাবানি বা বিত্তি ( বাঁশের খিলের তৈরী মাছধরা যন্ত্র বিশেষ) দিয়ে মাছ ধরতো গ্রামের মানুষ। অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর বৃষ্টি বেশী হওয়াতে খাল বিল নদী নালায় পানি থৈ থৈ করছে। পুকুর, বাওড়, ডোবা থেকে প্রচুর ছোট ও বড়  মাছ  ভেসে গেছে। ফলে বাড়ছে মাছ ধরার ফাঁদ রাবানি'র চাহিদা।

অনেকদিন পর মানুষ ছোট বড় মাছ ধরার প্রতিযোগিতায় নেমেছে। মাছ ধরার জন্য এলাকার হাটে হাটে গিয়ে জাল, পলো, চুই বা রাবানি কিনতে দেখা গেছে।

চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা, ডুগডুগি, শিয়ালমারি, গোকল খালি, মুন্সিগঞ্জন, দশমাইল সাপ্তাহিক পশুর হাটে রাবানি বিক্রেতাদের ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে।

সাপ্তাহিক হাটে আসা রাবানি বিক্রেতা কামাল হোসেন, আত্তাব উদ্দিন, জহির উদ্দির, জানান প্রতিটি রাবানি ৫ থেকে ৬শ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে, বাজারে চাহিদা বেশি থাকায় তৈরি করে কুলানো যাচ্ছে না। এমন বেচাকেনা ১০-১২ বছরের মধ্যে হয়নি।

রাবানি ক্রেতা মহর আলি জানান, বছরের সব সময়ই বড় বড় বা হাইব্রিড জাতের মাছ পাওয়া যায় কিন্তু রাবানিতে ধরা পড়া দেশিয় প্রজাতির ছোট মাছের বড্ডই অভাব। পিয়াজ রসুন কাচা মরিচ দিয়ে ভুনা করা এ মাছের যে স্বাদ, তা আর বলার মতো না। 

তিনি আরও জানালেন, একটি রাবানিতে প্রতিদিন প্রায় এক কেজি বিভিন্ন প্রজাতির ছোট মাছ পাওয়া যায়, নিজেরা খাওয়ার পর কিছু বিক্রিও করা যায়। এতে রাবানি কেনার টাকাটাও উঠে আসে। 

দামুড়হুদা ওদুদ শাহ কলেজের বাংলা বিভাগের শিক্ষক মিজানুর রহমান মন্ডল জানালেন, সব থেকে বড় কথা হলো রাবানি তৈরির কারিগররা তাদের পেশা ধরে রাখতে পেরেছেন, যা দিয়ে জীবন জীবিকা সচল রাখতে সক্ষম হয়েছেন।

এদিকে চলতি বছর আগাম অতি বৃষ্টিপাতের কারণে পানি যেখানে পানির মাছও সেখানে হওয়ায় রাবানির চাহিদা বেড়েগেছে বলে সচেতন মহল মনে করছেন।

এনআই/ এডিবি