ন্যাভিগেশন মেনু

ছেলে-বউমা করোনা আক্রান্ত শুনেই পালাতে গিয়ে বৃদ্ধের মৃত্যু


তিনজন নিয়ে  সংসার। তাঁদের মধ্যে বয়সে নবীন দু’জনের শরীরে থাবা বসিয়েছে করোনা। ফলে মারণ ভাইরাস সংক্রমণের আতঙ্কে কাঁটা হয়ে গিয়েছিলেন বৃদ্ধ।

ঘর থেকে বেরনোর জন্য ব্যাকুল হয়ে উঠেছিলেন। কিন্তু অনুমতি দিচ্ছিলেন না করোনা আক্রান্ত ছেলে-বউমা। তাই কাপড়ের সাহায্যে রেলিংয় বেয়ে নিচে নামার চেষ্টা করেছিলেন। যার পরিণতি হল মর্মান্তিক। তিনতলা থেকে রাস্তায় পড়ে মৃত্যু হল বৃদ্ধের।

ওই বৃদ্ধের নাম নাগিনদাস মোহনলাল জাভেরি। বয়স ৮৭ বছর। হাজরা রোডের একটি আবাসনের তিনতলার ফ্ল্যাটে ছেলে-বউমার সঙ্গে থাকতেন তিনি। সম্প্রতি করোনা আক্রান্ত হন তাঁর ছেলে ও বউমা।

ফলে ঘরবন্দি হয়ে পড়েন বৃদ্ধ। ছেলে-বউমা তাঁকে আপাতত বাড়িতেই থাকার পরামর্শ দেন। কিন্তু বন্দিদশা কাটাতে নারাজ ছিলেন বৃদ্ধ। বিভিন্ন অছিলায় বাড়ি থেকে বেরনোর চেষ্টা করছিলেন তিনি।

এই পরিস্থিতিতে বুধবার সকালে আচমকা কলকাতার হাজরা এলাকার ফ্ল্যাটের ব্যালকনি থেকে রাস্তায় পড়ে যান বৃদ্ধ। রক্তাক্ত অবস্থায় স্থানীয়রা তড়িঘড়ি করে তাঁকে উদ্ধার করে নিয়ে যায় হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করে।

 পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে যে ফ্ল্যাটে ওই বৃদ্ধ থাকতেন সেটির ব্যলকনি থেকে একটি কাপড় ঝুলতে দেখেন। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, করোনা আতঙ্কেই ওই কাপড়ের সাহায্যে ফিল্মি কায়দায় ঘর থেকে বেরিয়ে যেতে চেয়েছিলেন বৃদ্ধ।

কিন্তু পরিণতি হল মর্মান্তিক। করোনা আক্রান্ত হওয়ায় বাবার মৃত্যুর পরও বন্দি বৃদ্ধের পুত্র ও বউমা। তাঁরা জানিয়েছেন, ঘর থেকে বের হওয়ার জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন তাঁদের বাবা। বুঝিয়ে তাঁকে ঘরেই রাখার চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু এর পরিণতি এরকম হতে পারে, তা কল্পনা করতে পারেননি কেউ।

এস এস