ন্যাভিগেশন মেনু

জিম্মি নাবিকদের সুস্থভাবে ফেরত চান স্বজনেরা


ভারত মহাসাগরে জলদস্যুদের হাতে জিম্মি ‘এমভি আবদুল্লাহ’ জাহাজের চতুর্থ প্রকৌশলী তানভীর তাকে উদ্ধারের জন্য মা জোছনা বেগমের কাছে আকুতি জানিয়েছেন।

মঙ্গলবার রাত ৮টায় সর্বশেষ মোবাইলে তানভীর মাকে বলেন, ‘আম্মু, ওরা মোবাইল নিয়ে নিচ্ছে। এখনও ইফতার করি নাই। তারা খাবার দিলে ইফতার করব। কবির গ্রুপের চাচার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। যেভাবেই হোক, আমাদের ছাড়ানোর ব্যবস্থা করেন, আম্মু।’

ছেলের চিন্তায় জোছনা বেগম বুধবার (১৩ মার্চ) সকালে ছুটে আসেন চট্টগ্রামের আগ্রাবাদে কবির গ্রুপের কার্যালয়ে। জাহাজটির মালিকপক্ষ কেএসআরএম কর্তৃপক্ষের কাছে জোৎস্না বেগম কাঁদছেন আর বলছেন, ‘আমার মানিক কোথায়? তারে আমার সামনে আনেন। আমি আমার মানিকরে বুকে নেব।’

এ সময় কেএসআরএমের অফিসে তার পাশেই ছিলেন জিম্মি হওয়া নাবিকদের সাথে অন্তত অনেক স্বজন।
কেএসআরএম গ্রুপের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছি। জলদস্যুদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছি। তারা এখনও কোনো যোগাযোগ করেনি। সাধারণত দুই-তিন সপ্তাহ সময় নিয়ে যোগাযোগ করে তারা। আমরা ২৩ নাবিকের সবাইকে নিরাপদে ফিরিয়ে আনতে যা যা করার দরকার সব করব।’
প্রিন্সিপাল অফিসার ক্যাপ্টেন সাব্বির মাহমুদ বলেন, ‘জাহাজের ডেক ক্যাডেটের কাছ থেকেই জলদস্যু আক্রমণ হওয়ার কথা প্রথম জানতে পারি আমরা। পরে তার সঙ্গে কথা হয়েছে জাহাজটির মালিকপক্ষেরও।’

বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক শাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘জাহাজের ডেক ক্যাডেট হোয়াটসআপে মেসেজটি পাঠান আমাদের সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক ইফতেখারুল আলমের কাছে। তিনি জাহাজ নিয়ে দক্ষিণ চায়নাতে রয়েছেন। মেসেজটি তিনি আমাদের সভাপতির কাছে ফরোয়ার্ড করেছেন। এর পরে 

গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে চিফ ইঞ্জিনিয়ার আরেকটি মেসেজ দিয়েছেন মালিকপক্ষের প্রধান নিবার্হীর কাছে। সেখানে তারা নিরাপদে আছেন বলে জানিয়েছেন। জাহাজটি জলদস্যুরা সোমালিয়া উপকূলের দিকে নিয়ে যাচ্ছিল। এটি এখন সোমালিয়ার উপকূল থেকে এটি প্রায় ১৭০ নটিক্যাল মাইল দূরে ছিল।