ন্যাভিগেশন মেনু

তথ্য গোপনের অপরাধে আমতলী উপজেলা চেয়ারম্যানের পদ বাতিল


নির্বাচনের হলফনামায় ঋণখেলাপি থাকা সত্ত্বেও তথ্য গোপন রাখার অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় বরগুনার আমতলী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান গোলাম সরোয়ার ফোরকানকে অপসারণ করে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী শামসুদ্দিন আহমেদ সজুকে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ঘোষণা করেছেন আদালত।

বুধবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বরগুনা প্রথম যুগ্ম জেলা জজ ও উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ট্রাইব্যুনালের বিচারক আব্দুল্লাহ আল মামুন ১০ দিনের মধ্যে নির্বাচন কমিশনকে গেজেট আকারে প্রকাশ করার আদেশ দেন।

২০১৯ সালের ৩১ মার্চ অনুষ্ঠিত আমতলী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য গোলাম সরোয়ার ফোরকান আনারস প্রতীকে এবং প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী সাবেক ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শামসুদ্দিন আহমেদ সজু ঘোড়া প্রতীকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। নির্বাচনে গোলাম সরোয়ার ফোরকান ৩৫ হাজার ৬২৮ ভোট এবং সামসুদ্দিন আহমেদ সজু পেয়েছিলেন ২৬ হাজার ৩৩৬ ভোট। ৯ হাজার ২৯২ ভোটের ব্যবধানে গোলাম সরোয়ার ফোরকান বিজয়ী হওয়ায় নির্বাচন কমিশন গোলাম সরোয়ার ফোরকানকে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করে।

পরবর্তীতে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী শামসুদ্দিন আহমেদ সজু নির্বাচনে কারচুপি অনিয়ম এবং ঋণখেলাপি থাকার অভিযোগে নির্বাচনী ফলাফল বাতিল চেয়ে বরগুনা প্রথম যুগ্ম জেলা জজ ও উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করেন।

শামসুদ্দিন আহমেদ তার দায়ের করা মামলার আবেদনে বলেন, গোলাম সরোয়ার ফোরকান তিনি ব্যক্তিগতভাবে ঋণখেলাপি জানা থাকা সত্ত্বেও তথ্য গোপন করে নির্বাচনী হলফনামায় অসত্য তথ্য দিয়ে অপরাধ করেছেন। গোলাম সরোয়ার ফোরকানের মালিকানাধীন রূপালি ট্রেডার্স, বনানী ট্রেডার্স এবং তার নিজ নামে রূপালী ব্যাংক পটুয়াখালী শাখায় ২৩ লাখ টাকা ঋণখেলাপি থাকেন। ফোরকানের আবেদনের প্রেক্ষিতে রূপালী ব্যাংক প্রধান কার্যালয় ঋণের সুদের ৮০ শতাংশ মওকুফ করা সত্ত্বেও তিনি ঋণের টাকা পরিশোধ না করায় ঋণখেলাপি থাকে। রুপালি ব্যাংক পটুয়াখালী শাখা তার বিরুদ্ধে পটুয়াখালী অর্থঋণ আদালতে ঋণখেলাপি থাকার কারণে মামলা দায়ের করেন। মামলায় রায়ের পরে ডিক্রি জারি হয়।

এস এ /এডিবি