ন্যাভিগেশন মেনু

তরমুজেই স্বপ্ন বুনছেন কুয়াকাটার কৃষকরা


পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া উপজেলার কৃষকরা এখন তরমুজ চাষের মধ্য দিয়ে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়ার স্বপ্ন বুনছেন। তরমুজ গ্রীষ্মকালীন একটি জনপ্রিয় ফল। গরমে তরমুজ শুধুমাত্র মনে প্রশান্তিই এনে দেয়না; বরং এতে রয়েছে প্রচুর পরিমানে আয়রন, ভিটামিন, কার্বোহাইড্রেট, ক্যালসিয়ামসহ নানা ভেষজগুন।

মাঘ-ফাল্গুন হচ্ছে তরমুজ চাষের সময়। এখন বাম্পার ফলনের জন্য তরমুজ ক্ষেত পরিচর্ষায় ব্যস্ত সময় পার করছেন স্থানীয় কৃষকরা। কেউ পানি সেচ দিচ্ছেন কেউবা আবার নিড়ানি দিয়ে তরমুজ গাছের গোড়া ঠিক করে দিচ্ছেন। কেউ কেউ আবার রোগ প্রতিরোধের জন্য ছত্রাকনাশক, ভিটামিন, সারসহ নানা ধরনের অনুখাদ্য ক্ষেতে প্রয়োগ করছেন। এবারে তরমুজরে বাম্পার ফলন হবে ও বেশি দামে বিক্রি করে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হবে এমনটাই আশা করছেন স্থানীয় কৃষকরা।

কলাপাড়া উপজেলা কৃষি অফিসার আবদুল মন্নান আজকের বাংলাদেশ পোস্টকে বলেন, এ উপজেলায় এবার তরমুজ আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে ৩ হাজার হেক্টর জমিতে। লক্ষ্যমাত্রা পূরণের জন্য কৃষকরা সুগারবেবি, আসাহি ইয়ামাতো, আধারী, পূষা বেদানা ও হাইব্রিড জাতের মধ্যে সুগার এম্পায়ার, অমৃত, মিলন মধূ, সুগার বেলেসহ বিভিন্ন জাতের তরমুজ চাষ করছেন। এ উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়ন, ডালবুগঞ্জ ও লতাচাপলি ইউনিয়নের কৃষকরা রাতদিন খেটে যাচ্ছে।

নীলগঞ্জ ইউনিয়নের দেীলতপুর গ্রামের কৃষক মোমিন ফরাজি বলেন, ভালো ফলন ও বাজারে ভালো দাম পাওয়ার আশায় এবার তরমুজ চাষ করেছেন।

লতাচাপলি ইউনিয়নের থঞ্জুপাড়ার কৃষক মো. মতিউর রহমান বলেন, 'গত বছরে তরমুজ চাষে লাভবান হয়েছিলাম তাই এবারে আমি একটু বেশি জমিতে তরমুজ চাষ করতেছি। তবে সরকারের কাছে তাদের দাবি, এবার কৃষকদের স্বার্থে পরিবহনের ভাড়া কমানোর জন্য এখন থেকেই উদ্যোগ নিবেন।'

কলাপাড়া উপজেলা কৃষি অফিসার আবদুল মন্নান আজকের বাংলাদেশ পোস্টকে বলেন, তরমুজের বাম্পার ফলন নিশ্চিতে কৃষিবিভাগ সবসময় মাঠ পর্যায়ে যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছে। পাশাপাশি কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে।

সিবি/এডিবি