ন্যাভিগেশন মেনু

তাড়াশে ১৩৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বায়োমেট্রিক মেশিন নষ্টের পথে


সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার ১৩৬টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ডিজিটাল হাজিরার জন্য বসানো বায়োমেট্রিক মেশিন নষ্ট হওয়ার পথে।

প্রতিটি স্কুলের বায়োমেট্রিক হাজিরা মেশিনগুলো নিম্নমানের হওয়ায় এবং দীর্ঘদিন স্কুল বন্ধ থাকার ফলে এগুলো এখন নষ্ট হতে চলেছে।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ২০১৯ সালের বার্ষিক প্রতিবেদন অনুযায়ী দেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ৬৫ হাজার ৬২০টি।

এসব বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের শতভাগ উপস্থিতি নিশ্চিত করতে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে বায়োমেট্রিক হাজিরা মেশিন স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেয় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।

মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শ্লিপ প্রকল্প থেকে যন্ত্রটি কেনা বাবদ ব্যয় নির্বাহ করা হবে এবং বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাদের দায়িত্বে যন্ত্রটি কিনে নেবে। বিষয়টি নিয়ে মন্ত্রণালয়-অধিদপ্তর কর্তৃক বিভিন্ন পত্রের মাধ্যমে একাধিক নির্দেশনা দেওয়া হয় মাঠপর্যায়ে।

এই কার্যক্রম মনিটর করার জন্য প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক বিভাগীয় উপ-পরিচালক আহ্বায়ক, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা  সদস্য ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে সদস্য সচিব করে তিন সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়। কোভিড-১৯ মহামারি পরিস্থিতিতে দেশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ২০২০ সালের ১৭ মার্চ থেকে বন্ধ ঘোষণা করা হয়।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একধিক শিক্ষক জানান, আমাদের উপজেলাতে ১০ হাজার থেকে ২০ হাজার টাকার মধ্যে পূর্ণ মেশিন সেটআপ করা হয়েছে। বিদ্যালয়ে দেওয়া বিলপত্রে ডিভাইস, ডোমেইন, হোস্টিং, সিম ও বিভিন্ন ইস্যুতে অর্ধেক টাকাই নয়-ছয় ব্যয় দেখানো হয়েছে। অথচ বিবরণীর অনেক কিছুই এখনও অনেক বিদ্যালয় বুঝে পায়নি। ইন্টারনেট বাবদ বাৎসরিক চার্জও নেওয়া হয়েছে বিদ্যালয় থেকে। অথচ ইন্টারনেট সংযোগই দেওয়া হয়নি।

তাড়াশ উপজেলার কাউরাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আইয়ুবুর রহমান রাজন বলেন, উপজেলায় সব স্কুলে ডিজিটাল হাজিরা মেশিন কেনা হয়েছে। কিন্তু স্কুল বন্ধ থাকায় সেগুলো কী অবস্থায় আছে তা পরে দেখা যাবে।

উপজেলার হামকুড়িয়া সরকারি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জহুরুল ইসলাম জানিয়েছেন, অধিকাংশ স্কুলের হাজিরা মেশিন নষ্ট হওয়ার পথে। এখন স্কুল খুললে বোঝা যাবে মেশিন ভালো আছে নাকি নষ্ট হয়ে গেছে।

তাড়াশ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আখতারুজ্জামান বলেন, করোনায় দীর্ঘদিন স্কুল বন্ধ থাকায় ডিজিটাল হাজিরা মেশিন ব্যবহার না করায় নষ্ট হয়েছে কি-না প্রতিষ্ঠান খুললে বলা যাবে। তবে নষ্ট হয়ে গেলে বহু টাকার ক্ষতি হবে।

এমএসএম/এসএ/এডিবি/