ন্যাভিগেশন মেনু

তিন লাখ টাকা হলেই বেঁচে যাবে মর্জিনা


হতদরিদ্র গিয়াসউদ্দিনের ভিটেমাটি ছাড়া আর কিছুই নেই। কোনো ছেলে না থাকায় পাঁচ মেয়েকে নিয়েই চলছিল গিয়াসউদ্দিনের সংসার। মেয়েদের বিয়েও দিয়েছিলেন। স্থানীয় পোশাক কারখানায় চাকুরী করে ভালোই চলছিলো মেয়েদের সংসার। কিন্তু হঠাৎ দ্বিতীয় মেয়ে মর্জিনা অসুস্থ হলে ডাক্তার দেখানো হয়। আর ডাক্তার দেখানোর পর দরিদ্র গিয়াসউদ্দিন যা শুনেন তাতে তার মাথায় আকাশ ভাঙার যোগার। ডাক্তার জানায় ব্রেন টিউমারে আক্রান্ত মর্জিনা।

'আপনারা আমার মেয়েকে বাঁচান। ঘরে আমার আরও চারটি মেয়ে আছে। ওর বাবারও কিছুদিন আগে অপারেশন হয়েছে। এখন আমি কী করে ওর চিকিৎসা করবো' আবেগাপ্লুত কণ্ঠে এভাবেই কথাগুলো বলছিলেন মর্জিনা খাতুনের মা।

মর্জিনা খাতুন গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের আবদার গ্রামের গিয়াস উদ্দিনের মেয়ে। তিনি পেশায় একজন পোশাক শ্রমিক। কিন্তু অসুস্থতার কারণে এখন আর কাজে যেতে পারছেন না।

জানা গেছে,  বাবা-মা ও পাঁচ বোন নিয়ে  তাদের সংসার। এরমধ্যে বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন মর্জিনা। অসুস্থতার কারণে তাদের দাম্পত্য জীবন বেশিদিন টিকেনি। গত চার বছর আগে হঠাৎ অসুস্থতা বোধ করেন। পরর্তীতে ডাক্তার দেখিয়ে চিকিৎসা নিয়ে কিছুটা মুক্তি মিললেও অসুস্থতা বাড়তে থাকে। এক পর্যায়ে বিভিন্ন স্থানে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর সবশেষ হাসপাতালে তার ব্রেন টিউমার ধরা পড়ে।

চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, টিউমার অপারেশন করা লাগবে। তাহলে হয়তো সুস্থ হয়ে আবারও স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারবেন তিনি। কিন্তু চিকিৎসার জন্য প্রায়োজন প্রায় ২ থেকে ৩ লাখ টাকা।

পোশাক কারখানার চাকরিই মর্জিনার উপার্জনের একমাত্র মাধ্যম। কিন্তু অসুস্থতার কারণে সেটাও এখন করতে পারছেন না। তার ওপর চিকিৎসার খরচ মেটাতে দিশেহারা পরিবারটি। এ অবস্থায় সমাজের বিত্তবান ও হৃদয়বান ব্যক্তিদের সহযোগিতার পাশাপাশি দোয়া কামনা করেছে অসহায় পরিবারটি। সমাজের হৃদয়বান ব্যক্তিরা যদি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন তাহলে হয়তো বাঁচাতে পারবেন মর্জিনার জীবন, বেঁচে যাবে অসহায় একটি পরিবার।

মর্জিনার বিশ্বাস দেশবাসী তার সাহায্যে এগিয়ে আসবেন। সুস্থ হয়ে তিনি আবার স্বাভাবিক জীবনে ফিরবেন। মর্জিনাকে সহযোগিতা করতে চাইলে ০১৪০৮৫৮২০৬৫ নম্বরে যোগাযোগ করতে পারেন। বিকাশ করতে পারেন ০১৮৩৯৪৫১৯৬২ নম্বরে।

এইচআর/ ওয়াই এ/এডিবি