ন্যাভিগেশন মেনু

তুরস্কে শরণার্থী শিবিরে স্থানীয়দের হামলা, ভাংচুর ও লুটপাট


তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায় দেশটির শত শত মানুষ সিরিয়ান শরণার্থীদের ঘরবাড়িতে হামলা চালায়। সিরিয়ানদের দোকান ভাংচুর ও লুট করা হয়। এই ঘটনায় হতাহতের কোন নির্দিষ্ট সংখ্যা উল্লেখ করা হয়নি।

বুধবার (১১ আগস্ট) শহরতলি আলটিন্ডায় স্থানীয় এক তুর্কি যুবক হত্যাকে কেন্দ্র করে সংঘাতের সূত্রপাত হয়। 

ধারণা করা হয়, সিরিয়ান শরণার্থীরা তাকে হত্যা করেছে। পুলিশ সংঘাত থামানোর চেষ্টা করার পরও তা বেশ কয়েক ঘণ্টা স্থায়ী হয়।

১৩ আগস্ট (শুক্রবার) ভয়েস অব আমেরিকা জানায়, বুধবার রাতে তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায় সিরিয়ান শরণার্থীদের ওপর হামলায় ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। 

তুরস্কে প্রায় চল্লিশ লাখ শরণার্থী আশ্রয় নিয়েছে এবং আফগানিস্তান থেকে আরও শরণার্থী সে দেশে যাচ্ছে। এর ফলে সামাজিক অস্থিরতা বাড়ার আশংকা করে হচ্ছে।

অসমর্থিত সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, অন্য এলাকা থেকে লোকজন গিয়ে এই হামলায় অংশ নেয়। হতাহতের কোন নির্দিষ্ট সংখ্যা উল্লেখ করা হয়নি।

তুরস্কের ক্ষমতাসীন দলের শক্ত ঘাঁটি আলটিন্ডায় বিপুল সংখ্যক সিরিয়ান শরণার্থীর বসবাস। যারা গৃহযুদ্ধের কারণে সিরিয়া থেকে পালিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন।

গত এক দশক ধরে চলমান সিরিয়ার গৃহযুদ্ধ থেকে পালিয়ে যাওয়া মানুষদের আশ্রয় দিয়েছে তুরস্ক। 

গ্লোবাল সোর্স পার্টনারসের রাজনীতি বিশ্লেষক আটিলিয়া ইয়েসিলাদা মনে করেন, সরকারের শরণার্থী বিষয়ক নীতি নিয়ে অসন্তোষ বাড়ছে। আফগানিস্তান থেকে আসা ক্রমবর্ধমান শরণার্থী তা আরও বাড়িয়ে তুলেছে।

ইয়েসিলাদা বলেন, শুধুমাত্র ৩৬ লাখ সিরিয়ান শরণার্থীই নন, রয়েছে প্রায় দুই হাজার ইরানি, পাঁচ লাখ ইরাকি, অজ্ঞাত সংখ্যক আফ্রিকান যারা পর্যটক ভিসায় গিয়েছিলেন। এখন আফগানিস্তানসহ মধ্যএশিয়ার অন্যান্য দেশ থেকে শরণার্থী যাচ্ছে। তারা কম বেতনে কাজ করে টার্কিশদের কর্মসংস্থানের ওপর প্রভাব ফেলছে। এটা একটি বড় বিষয়, তুরস্কের জনগণ চান শরণার্থীরা চলে যাক।

এডিবি/