ন্যাভিগেশন মেনু

দাম কম, ধান জমিতেই ফেলে রেখেছে কৃষক


যশোরের শার্শায় চাষীদের মধ্যে আমন ধান ঘরে তুলতে চরম অনীহা দেখা যাচ্ছে। হতাশায় আগামী ইরি-বোরো মৌসুমে ধান চাষে আগ্রহ হারিয়ে চরম শঙ্কায় রয়েছে কৃষক।

বাজারে চাউলের দাম বেশি থাকায় ও ধান বিক্রিতে কাঙ্খিত দাম না পাওয়ায় অনেক কৃষকই ধান কেটে এখনও জমিতেই ফেলে রেখেছে।

চলতি বছর কারেন্ট পোকার আক্রমণে ফলন যেমন কমে গেছে তেমনি ন্যায্য দাম না পাওয়ায় চরম লোকসানের কবলে  পড়েছেন কৃষকরা।

গত ইরি-বোরো মৌসুমে লোকসানের পর এবার আমন আবাদেও লোকসান গুনতে হচ্ছে কৃষকদের। বাজারে চালের মূল্য চড়া থাকলেও ধানের ন্যায্য দাম না পাওয়ায় চরম ক্ষুব্ধ ও হতাশা প্রকাশ করেছে সাধারণ কৃষকরা।

শার্শার কাশিয়াডাঙ্গা গ্রামের কৃষক আসলাম শেখ বলেন, চলতি আমন মৌসুমে ২ বিঘা জমিতে ধান চাষ করেছি। বিঘা প্রতি ১৪ থেকে ১৫ হাজার টাকা উৎপাদন খরচ এবং ধান হয়েছে ২০ মণ হারে। ধান ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা দামে বাজারে বিক্রি হওযায় উৎপাদন খরচও বাঁচছে না।

ধান ব্যবসায়ী স্বপন হোসেন বলেন, বাজার থেকে ধান কিনে মিলারদের কাছে বিক্রি করি। কিন্তু সেখানেও এবার ধান দিতে পারছি না ঠিকমতো। মিলাররা আমাদের বলছে চাল বিক্রি নেই, চালের টাকা পাচ্ছি না। বাধ্য হয়েই কম দামে ধান কিনতে হচ্ছে।

শার্শা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সৌতম কুমার শীল জানান, চলতি আমন মৌসুমে উপজেলায় পর্যাপ্ত  জমিতে ধানের আবাদ হয়েছে। ইতোমধ্যে প্রায় ৯৮ ভাগ জমির ধান কাটাও শেষ হয়েছে। কারেন্ট পোকার আক্রমণে কিছুটা ক্ষতি হয়েছে। তবে বাজারে একটু বেশি দাম পেলে চাষীদের ক্ষতি কিছুটা পুষিয়ে যেত।  

ওয়াই এ / এস এস