দিনাজপুর জেলা ধান চালের জন্য বিখ্যাত হলেও সুনাম অর্জন করেছে লিচু আর আম। এবার দিনাজপুর জেলার ১৩টি উপজেলায় আম গাছে প্রচুর মুকুল ধরেছে। আর আমের মুকুল থেকে ছড়াচ্ছে ঘ্রাণ।
আমের মুকুলের মিষ্টি ঘ্রাণে মৌ মৌ করছে প্রকৃতি। আমের মুকুলে তাই এখন মৌমাছির গুঞ্জন। মুকুলের মিষ্টি ঘ্রাণ যেনো জাদুর মতো কাছে টানছে তাদের। এবার সময়ের আগেই সোনালি মুকুলে ভরে গেছে দিনাজপুর জেলার আম বাগানগুলো। তাই দখিনা বাতাসে দোল খাচ্ছে চাষির স্বপ্ন। বাগান মালিক ও ব্যবসায়ীদের মনে আশার আলো জ্বালিয়েছে।
বিভিন্ন এলাকার কয়েকটি বাগান ঘুরে দেখা গেছে, গাছে গাছে নানা ফুলের সঙ্গে আমের মুকুলের মৌ মৌ গন্ধে মাতোয়ারা করে তুলছে। থোকায় থোকায় হলুদ রঙের মুকুলে গাছগুলো ভরে গেছে। বাগান মালিকরা আমের ভালো ফলন পেতে ছত্রাকনাশক প্রয়োগসহ বাগান পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন।
জেলা কৃষি কর্মকর্তা বলেন, এ জেলাতে প্রধান আমের আবাদ হচ্ছে ফজলি, লেংড়া, আম্রপালি, মিশ্রিভোগ, হাড়িভাঙা, মল্লিকা, থাই, গোপালভোগ, বারি ১০, দেশি, বেনারসি সিতাভোগ।
দিনাজপুর সদরের কসবা এলাকার আম চাষি বাঁধন কুমার জানান, এ বছর আমার আম গাছে প্রচুর পরিমাণে মুকুল দেখা দিয়েছে। এখন পর্যন্ত আমের মুকুলে কোনো রোগ-বালাই আক্রমণ করেনি। মুকুল ভালোভাবে প্রস্ফুটিত হয়েছে। যদি কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না আসে, আশা করছি প্রতিটি আমগাছেই পর্যান্ত পরিমাণে আম ধরবে।
তিনি বলেন, গত বছর সাড়ে ১৫ বিঘা জমিতে আমের বাগান ছিলো। যা বিক্রি করেছিলাম ৭ লাখ টাকায়। এবছর ২০ বিঘা আমের বাগান আছে। এলাকাতে ফসলি জমি রেখে অনেকেই আম বাগান করেছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোঃ তহিদুল ইকবাল আজকের বাংলাদেশে পোস্টকে জানান, দিনাজপুরে আমের উৎপাদন ভালো হয়। এ বছর একটু আগে ভাগেই আম গাছে মুকুল দেখা দিয়েছে। আবহাওয়া ঠিক থাকলে এ বছরে দিনাজপুরে আমের বাম্পার ফলন হবে।
এএসবি/এডিবি/
