ন্যাভিগেশন মেনু

দিনাজপুরে ইঁদুর নিধনে 'চোঙ্গা ফাঁদ' ব্যবহারে সুফল পাচ্ছে কৃষক


দিনাজপুরের চিরিরবন্দরে বিষটোপ, পলিথিনের নিশানা আর কলাগাছ পুঁতেও কূল কিনারা না পেয়ে বাঁশের চোঙা ফাঁদ দিয়ে ইঁদুর নিধন করছেন কৃষকরা।

উপজেলার বিভিন্ন এলাকার ধানক্ষেতে কালো ইঁদুরের উপদ্রব দিন দিন বেড়েই চলেছে। ধানক্ষেত কেটে নষ্ট করায় কৃষকদের দুশ্চিন্তার শেষ নেই। দুই সপ্তাহ আগে ধানক্ষেতে ইদুরের আলামত দেখে বিষটোপ, পলিথিনের নিশানা গেড়ে এবং কলাগাছ পুতে ইঁদুর তাড়ানোর চেষ্টা করেন চাষিরা। কিন্তু এসব পদ্ধতি তেমন কাজে আসে না।

এমন অবস্থায় উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান ভ্রাম্যমাণ ফসল ক্লিনিক চালুর মাধ্যমে স্থানীয় প্রযুক্তি (চোঙা ফাঁদ) ব্যবহার করে কিভাবে ইঁদুর নিধন করা যায় সেই বিষয়টি নিয়ে কৃষকদের সঙ্গে আলোচনা করেন। আর এই বাঁশের চোঙা দিয়ে কিভাবে ফাঁদ তৈরি করা যায়, সে বিষয়ে কৃষকদের পরামর্শ দেন। এরপর থেকে কৃষকরা শুরু করে চোঙা ফাঁদ ব্যবহার।

আউলিয়াপুকুর ইউনিয়নের কয়েকজন চাষির সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বাঁশের তৈরি চোঙা ফাঁদ দিয়ে গত ১০ দিনে প্রায় ২০০টি ইঁদুর মেরেছেন তারা। প্রতিদিন ১০-১৫টি করে ইঁদুর মারলেও থামছে না উৎপাত।

কৃষকরা জানান, প্রতিদিন বিকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ধানক্ষেতে বিশেষ যন্ত্রটি একাধিক স্থানে বসিয়ে দিয়ে আসেন। পরদিন সকাল হতেই ছোটেন ফাঁদে আটকানো ইঁদুর খুলতে।

সোমবার সকালে বাঁশের চোঙাসহ ইঁদুর হাতে ক্ষেত থেকে উঠে আসা সাইতাড়া ইউনিয়নের জগন্নাথপুর এলাকার কৃষক মমিনুল ইসলাম বলেন, আমার চার বিঘা জমির ধানগাছ কেটে নষ্ট করেছে। কয়েকদিনে আমি ৪০টি ইঁদুর মেরেছি।

একই এলাকার কৃষক রহিম উদ্দিন বলেন,  ‘আমার ২২ কাঠা জমিতে ইঁদুরের উপদ্রব দেখা দিয়েছে। আমি গত ১০ দিনে ১৬টি ইঁদুর মেরেছি।

উপজেলা কৃষি অফিসার মাহমুদুল হাসান ইঁদুরের উপদ্রবের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘উপজেলায় বিচ্ছিন্নভাবে বেশ কিছু এলাকায় ইঁদুর দেখা গেছে। চাষিদের সম্মিলিতভাবে ইঁদুর নিধন করতে হবে। বাঁশের চোঙা ফাঁদ দিয়ে ইঁদুর নিধন প্রক্রিয়া অনেকটা কার্যকর। এ পদ্ধতি ব্যবহার করে অনেকেই ভালো সুফল পাচ্ছে। তাছাড়া চোঙা ফাঁদ ব্যবহারে কৃষকদের আমরা ভ্রাম্যমাণ কৃষি বান্ধব চিকিৎসা সেবা নিয়মিত দিয়ে যাচ্ছি।

এস এ/এডিবি