ন্যাভিগেশন মেনু

দিনাজপুরে গম চাষে বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা


দিনাজপুরে গত বছরের চেয়ে চলতি মৌসুমে গমের চাষ বেশি হয়েছে এবং বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে কৃষি অধিদপ্তর।

ধানের চেয়ে গম চাষে খরচ কম এবং ফসল উৎপাদন কাজে কৃষকের শ্রমও কম। প্রতি বিঘা জমিতে গম চাষে কৃষকের খরচ হয় ৬ থেকে সাড়ে ৬ হাজার টাকা। তাই অল্প শ্রমে স্বল্প ব্যয়ে কৃষকরা গম চাষে আগ্রহী হয়েছেন।

দিনাজপুর জেলা কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের চেয়ে এ বছরে গমের চাষ বেড়েছে। গত বছরে জেলায় ৬ হাজার হেক্টর জমিতে গম চাষ হয়েছে। চলতি মৌসুমে ১৩টি উপজেলায় প্রায় ৬ হাজার ১০০ হেক্টর জমিতে গম চাষ হচ্ছে।

এবার সারাদেশে কৃষকরা ব্লাস্ট রোগ প্রতিরোধী ও উচ্চ ফলনশীল নতুন জাতের গম চাষে বেশি আগ্রহী। উদ্ভাবিত গমের নতুন জাতের গড় ফলন হবে হেক্টর প্রতি সাড়ে ৪ থেকে ৫ টন। ভালো ফলন পাওয়ায় কৃষকের চাহিদা অনুযায়ি এখন গম বীজ সরবরাহ করা গেলেই আগামী ২/১ বছরেই দেশে দ্বিগুণ পরিমাণ গম উৎপাদন সম্ভব।

সারাদেশে গম উৎপাদন বৃদ্ধিতে উদ্ভাবিত নতুন জাতের বারি-৩৩, ডাব্লিউএমআরআই-২ ও ৩ বীজ সরবরাহ করা হয়েছে। আগামী এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে গমের ফলন পাওয়া যাবে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

বাংলাদেশ গম ও ভুট্টা গবেষণা ইনস্টিটিউট দিনাজপুরের (ডাব্লিউএমআরআই) মহাপরিচালক ড. মো. এছরাইল হোসেন জানান, সারাদেশে এবার বাংলাদেশ গম ও ভুট্টা গবেষণা ইনস্টিটিউট গমের ফলন ও উৎপাদন বাড়াতে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মাধমে ২ হাজার ৩০৫ জন কৃষকের জমিতে প্রদর্শনী খামার করতে ৪৩ টন বীজ সরবরাহ করা হয়েছে। এ ছাড়াও গম উৎপাদনে বিএডিসিকে এবার ব্লাস্ট রোগ প্রতিরোধী ও উচ্চ ফলনশীল নতুন তিনটি জাতের ২৩ টনসহ মোট ৬০ টন প্রজনন বীজ সরবরাহ করা হয়েছে। আগের জাত ছাড়াও সারাদেশে গম উৎপাদন বৃদ্ধিতে ব্লাস্ট রোগ প্রতিরোধী ও উচ্চ ফলনশীল নতুন জাতের বারি গম-৩৩, ডাব্লিউএমআরআই-২ ও ৩  বীজ সরবরাহ করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ গম ও ভুট্টা গবেষণা ইনস্টিটিউট (ডাব্লিউএমআরআই) জায়গা সংকটের কারণে প্রজনন বীজ উৎপাদন করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে এ সংকট কাটিয়ে ওঠার জন্যে দিনাজপুরের সেতাবগঞ্জ সুগারমিলের কান্তা ফার্মাসহ বিভিন্ন স্থানের পরিত্যক্ত জমি লিজ দেওয়ার জন্যে কৃষি মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করা হয়েছে। পর্যাপ্ত জমি পেলে ডাব্লিউএমআরআই সারাদেশের কৃষকের চাহিদা অনুযায়ী ব্লাস্ট রোগ প্রতিরোধী ও উচ্চ ফলনশীল নতুন জাতের গম বীজ সরবরাহ করতে পারবে।

এএস/ ওয়াই এ/এডিবি