ন্যাভিগেশন মেনু

দেশে ৩০০ স্কুল অব ফিউচার প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে: পলক


ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি বিষয়ে বেসিক নলেজ বা মৌলিক ধারনা প্রদানের মাধ্যমে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে বঙ্গবন্ধুর সোনার মানুষে পরিণত করতে দেশে ৩০০টি স্কুল অব ফিউচার প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

তিনি বলেন, ‘তরুণরা যেন এলাকাই বসেই আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে পারে সে লক্ষ্যে দেশে ৬৪টি শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে। ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ বিশ্বে প্রযুক্তিখাতে নেতৃত্ব দিতে পারে সে লক্ষ্যে প্রযুক্তিবিদ, উদ্ভাবক তৈরি করতে শেখ হাসিনা ইনস্টিটিউট ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি প্রতিষ্ঠা করা হবে।‘

বুধবার (৯ জুন) তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের উদ্যোগে আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধু ইনোভেশন গ্র্যান্ট (বিগ) ২০২১’ উপলক্ষে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন।

এ সময় প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু ইনোভেশন গ্র্যান্ট প্রতিযোগিতার মাধ্যমে দেশের তরুণ প্রজন্মকে উদ্যোক্তা ও উদ্ভাবক হতে অনুপ্রাণিত ও সম্পৃক্ত করা সম্ভব হয়েছে। অপরদিকে সারা বিশ্বের কাছে বাংলাদেশকে উদ্যোক্তা ও উদ্ভাবকদের জন্য একটি সম্ভাবনাময়ী গন্তব্য হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা গেছে। বাংলাদেশসহ বিশ্বের ৫৭টি দেশ থেকে ৭ হাজারের অধিক স্টার্টআপ/ইনোভেটররা ইনোভেশন গ্র্যান্ট প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছে।’

পলক বলেন, ‘তরুণ উদ্যোক্তা ও উদ্ভাবকগণ ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার অগ্রসৈনিক। তথ্যপ্রযুক্তিতে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, গবেষক, উদ্ভাবকদের সম্পৃক্ত করে স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম ও এন্টারপ্রেনিয়র সাপ্লাইচেইন তৈরির মাধ্যমে তরুণদের আত্মনির্ভরশীল করতে আইসিটি বিভাগ বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করছে।‘

তিনি বলেন, ‘দেশে সাড়ে ৬ লাখের বেশি আইটি ফ্রিল্যান্সার রয়েছে। তারা ৫০০ মিলিয়ন ডলারের বেশি আয় করছে। মুজিববর্ষে স্টার্টআপ বাংলাদেশ কোম্পানি লিমিটেড থেকে ৫০টি স্টার্টআপের মাঝে ১০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হবে। বঙ্গবন্ধু ইনোভেশন গ্র্যান্টের ১ম পুরস্কার ১ লাখ মার্কিন ডলার অনুদান দেওয়া হবে। তারা যেন উদ্ভাবনী কাজে বিনিয়োগ ও অর্থায়ন নিয়ে চিন্তা করতে না হয়। বঙ্গবন্ধু ইনোভেশন গ্র্যান্ট প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে ১০টি স্টার্টআপ নির্বাচিত হয়েছে। তাদের ১০ লাখ করে টাকা দেওয়া হবে।’

এমআইআর/এডিবি/