ন্যাভিগেশন মেনু

নানা আয়োজনে পাবনায় সুচিত্রা সেনের প্রয়াণ দিবস পালিত


নানা আয়োজনে জন্মস্থান পাবনায় পালিত হলো মহানয়িকা সুচিত্রা সেনের ৮ম প্রয়াণ দিবস। 

এ উপলক্ষে রবিবার (১৭ জানুয়ারি) দুপুরে পাবনা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে ‘সুচিত্রা সেন স্মৃতি সংরক্ষণ  পরিষদে’র উদ্যোগে স্বরণ সভার আয়োজন করা হয়।

স্মৃতি সংরক্ষণ পরিষদের সভাপতি এম সাইদুল হক চুন্নু সভাপতিত্ব করেন।

স্মরণ সভার শুরুতেই সুচিত্রা সেনের আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন এবং তাঁর প্রতিকৃতিতে পুস্পার্ঘ অর্পণ করা হয়।

রাজশাহীতে ভারতীয় দূতাবাসের সহকারী হাই কমিশনার সঞ্জীব কুমার ভাটি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

সঞ্জীব কুমার ভাটি বলেন, করোনা সংক্রমণ  প্রশমন হলেই পাবনায় চলচ্চিত্র উৎসব করা হবে। ভারত সরকার বাংলাদেশের উন্নয়নে আন্তরিকভাবে সহযোগিতা করে আসছে।

বিশেষ করে রাজশাহী অঞ্চলের বিভিন্ন রাস্তা, পুকুর সংস্করণ ও মন্দির নির্মাণে ভূমিকা রাখছে।

করোনা ভ্যাকসিন প্রসঙ্গে বলেন, ভারত বাংলাদেশকেই প্রথমেই করোনা ভ্যাকসিন প্রদান করবে। তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ থেকেই ভারত বাংলাদেশ পরস্পর মৈত্রী বন্ধনে আবদ্ধ।

ভারত বারবরই তার পার্শবর্তী দেশের সাথে বন্ধুত্ব বজায় রেখে আসছে। বাংলাদেশ তারমধ্যে অন্যতম। আগামীতেইও সেই ধারা অব্যাহত থাকবে।

ড. মো: হাবিবুল্লা’র সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য দেন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ড. নরেশ মধু,সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক হরিশ চন্দ্র চৌধুরী, প্রেসক্লাবের সভাপতি এ বিএম ফজলুর রহমান, ডা: রামদুলাল ভৌমিক, কৃষিবিদ জাফর সাদেক, সরওয়ার মোর্শেদ উল্লাস, প্রধান শিক্ষিক হাসিনা আক্তার রোজী প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, সুচিত্রা সেনের পাবনার পৈত্রিক বাড়িটি দখলমুক্ত করা হলেও সেখানে এখন পর্যন্ত কিছুই করা হয়নি। বক্তারা অবিলম্বে সূচিত্রা সেনের বাড়িটি আর্কাইভ করার দাবী জানান।

২০১৪ সালের ১৭ জানুয়ারি না ফেরার দেশে পাড়ি জমান কিংবদন্তি এই অভিনেত্রী। অবিভক্ত ভারতের বাংলাদেশের পাবনা জেলায় ১৯২৯ সালের ৬ এপ্রিল এক মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন রমা দাশগুপ্ত।

সুন্দর মুখশ্রীর রমার বাবা করুণাময় দাশগুপ্ত স্থানীয় স্কুলের প্রধান শিক্ষক ছিলেন। ১৯৪৭ সালে বর্ধিষ্ণু শিল্পপতি পরিবারের সন্তান দিবানাথ সেনকে বিয়ের সূত্রে কলকাতায় পাকাপাকি চলে যান পাবনার রমা।

বিয়ের পরে ১৯৫২ সালে ‘শেষ কথায়’ রূপালি পর্দায় নায়িকার ভূমিকায় প্রথম আত্মপ্রকাশ তাঁর। পাবনার রমার নাম বদলে হয় সুচিত্রা। আর তার পরেরটা শুধুই ইতিহাস। কেবলই কিংবদন্তির পথে এগিয়ে চলা। তার হাত ধরেই বদলে যায় বাংলা চলচ্চিত্রের নায়িকার সংজ্ঞা।

‘সাত নম্বর কয়েদী’ ছবিতে অভিনয় করার পর সুচিত্রা সেন পিনাকী মুখার্জি পরিচালিত ‘সংকেত’ ছবিতে অভিনয় করেন। তখনও তিনি ‘সুচিত্রা সেন’ নাম ধারণ করেননি। সে নাম আসে এর পরের ছবি অর্থাৎ নীরেন লাহিড়ীর ‘কাজরী’ ছবির মাধ্যমে ১৯৫২ সালে।

সুচিত্রা সেন সিনেমা করতে গিয়ে সবচেয়ে বেশি আলোচিত হন উত্তম কুমারের জুটি হিসেবে। উত্তম-সুচিত্রা শব্দটি ছিলো তখনকার চলচ্চিত্রের আশীর্বাদ। কখনো প্রেম যুগল, কখনো দাম্পত্যজীবনের গল্পে তারা হয়ে উঠেছিলেন অনবদ্য।

আলাদা সংসার থাকলেও এই দুজনের প্রেম নিয়ে অনেক মুখরোচক কথাই ছড়ানো আছে টালিগঞ্জের ইতিহাসে।

সুচিত্রা সেন অভিনীত শেষ ছবি ‘প্রণয় পাশা’ মুক্তি পায় ১৯৭৮ সালে। ওই বছরই তিনি সুদীর্ঘ ২৫ বছর অভিনয়ের পর চলচ্চিত্র অঙ্গন থেকে চিরতরে অবসরগ্রহণ করেন। এরপর তিনি লোকচক্ষু থেকে আত্মগোপন করেন এবং রামকৃষ্ণ মিশনের সেবায় ব্রতী হন।

১৯৫২ সালে তিনি প্রথম চলচ্চিত্রে পা রাখেন। প্রথম ছবি করেন শেষ কোথায়। ১৯৫৩ সালে মহানায়িকা উত্তম কুমারের সঙ্গে সাড়ে চুয়াত্তর ছবি করে সাড়া ফেলে দেন চলচ্চিত্র অঙ্গনে।

সুচিত্রা সেন বাংলা ও হিন্দি ছবিতে অভিনয় করেন। তাঁর অভিনীত প্রথম হিন্দি ছবি হলো দেবদাস (১৯৫৫)।১৯৩১ সালের ৬ এপ্রিল বৃহত্তর পাবনা জেলার সেনহাটি গ্রামের নানা বাড়িতে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। পরে পাবনা শহরের গোপালপুর পৈত্রিক বাড়িতে তার শৈশব ও কৈশরকাল অতিবাহিত হয়।

২০১৪ সালের ১৭ জানুয়ারি না ফেরার দেশে পাড়ি জমান কিংবদন্তি এই অভিনেত্রী।অবিভক্ত ভারতের বাংলাদেশের পাবনা জেলায় ১৯২৯ সালের ৬ এপ্রিল এক মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন রমা দাশগুপ্ত।

সুন্দর মুখশ্রীর রমার বাবা করুণাময় দাশগুপ্ত স্থানীয় স্কুলের প্রধান শিক্ষক ছিলেন। ১৯৪৭ সালে বর্ধিষ্ণু শিল্পপতি পরিবারের সন্তান দিবানাথ সেনকে বিয়ের সূত্রে কলকাতায় পাকাপাকি চলে যান পাবনার রমা।

বিয়ের পরে ১৯৫২ সালে ‘শেষ কথায়’ রূপালি পর্দায় নায়িকার ভূমিকায় প্রথম আত্মপ্রকাশ তাঁর। পাবনার রমার নাম বদলে হয় সুচিত্রা। আর তার পরেরটা শুধুই ইতিহাস। কেবলই কিংবদন্তির পথে এগিয়ে চলা। তার হাত ধরেই বদলে যায় বাংলা চলচ্চিত্রের নায়িকার সংজ্ঞা।

‘সাত নম্বর কয়েদী’ ছবিতে অভিনয় করার পর সুচিত্রা সেন পিনাকী মুখার্জি পরিচালিত ‘সংকেত’ ছবিতে অভিনয় করেন। তখনও তিনি ‘সুচিত্রা সেন’ নাম ধারণ করেননি। সে নাম আসে এর পরের ছবি অর্থাৎ নীরেন লাহিড়ীর ‘কাজরী’ ছবির মাধ্যমে ১৯৫২ সালে।

সুচিত্রা সেন সিনেমা করতে গিয়ে সবচেয়ে বেশি আলোচিত হন উত্তম কুমারের জুটি হিসেবে। উত্তম-সুচিত্রা শব্দটি ছিলো তখনকার চলচ্চিত্রের আশীর্বাদ। কখনো প্রেম যুগল, কখনো দাম্পত্যজীবনের গল্পে তারা হয়ে উঠেছিলেন অনবদ্য।

আলাদা সংসার থাকলেও এই দুজনের প্রেম নিয়ে অনেক মুখরোচক কথাই ছড়ানো আছে টালিগঞ্জের ইতিহাসে।

সুচিত্রা সেন অভিনীত শেষ ছবি ‘প্রণয় পাশা’ মুক্তি পায় ১৯৭৮ সালে। ওই বছরই তিনি সুদীর্ঘ ২৫ বছর অভিনয়ের পর চলচ্চিত্র অঙ্গন থেকে চিরতরে অবসরগ্রহণ করেন। এরপর তিনি লোকচক্ষু থেকে আত্মগোপন করেন এবং রামকৃষ্ণ মিশনের সেবায় ব্রতী হন।

১৯৫২ সালে তিনি প্রথম চলচ্চিত্রে পা রাখেন। প্রথম ছবি করেন শেষ কোথায়। ১৯৫৩ সালে মহানায়িকা উত্তম কুমারের সঙ্গে সাড়ে চুয়াত্তর ছবি করে সাড়া ফেলে দেন চলচ্চিত্র অঙ্গনে। সুচিত্রা সেন বাংলা ও হিন্দি ছবিতে অভিনয় করেন। তাঁর অভিনীত প্রথম হিন্দি ছবি হলো দেবদাস (১৯৫৫)।

এস এস