ন্যাভিগেশন মেনু

নামে ৫০ শয্যা বাস্তবে ১৯! চিকিৎসা সংকটে লোহাগড়াবাসী


নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি ৩১ শয্যা থেকে উন্নীত করে ৫০ শয্যার করা হয়েছে। কিন্তু সরকারের খাতায় ৫০ শয্যা থাকলেও এ পর্যন্ত  শুধুমাত্র রোগীদের পথ্য ছাড়া চিকিৎসক ও কর্মীর সংখ্যা ৩১ শয্যারই রয়েছে। ফলে স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন লোহাগড়াবাসী।

এখানেই শেষ নয়, ৩১ শয্যার পুরনো ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় তা ভেঙ্গে ফেলা হচ্ছে। নতুন ভবনে কার্যক্রম শুরু হলেও সেখানে কার্যত শয্যা সংখ্যা মাত্র ১৯। ফলে রোগীরা ঠাঁই নিচ্ছেন মেঝেতে।

জনপ্রতিনিধি, চিকিৎসক ও গণমাধ্যম কর্মীদের দৌঁড়ঝাপে নতুন ভবনের তৃতীয় তলায় অব্যবহৃত স্থানে রোগী রাখার  উপযোগী করে কয়েকটি শয্যা বাড়ানো হলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় অতি নগণ্য। গড়ে প্রতিদিন এখানে আন্তঃবিভাগে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ৭০-৮০ জন। গড়ে প্রতিদিন বহিঃ বিভাগে চিকিৎসা নিচ্ছে ৫০০-৬০০ রোগী। জরুরী বিভাগে গড়ে প্রতিদিন চিকিৎসা নিচ্ছেন ৬০-৭০ জন রোগী।

প্রচণ্ড শীতে দূর-দূরান্ত থেকে চিকিৎসা নিতে আসা দরিদ্র লোকজন শয্যার অভাবে মেঝেতে চিকিৎসা নিচ্ছেন। বর্তমান অবস্থায় শিশু, নারী-পুরুষ ওয়ার্ড পৃথক রাখাও অসম্ভব হয়ে পড়েছে। তেমনি সংক্রমিত রোগীদেরও পৃথক রুমে রাখা সম্ভব হচ্ছে না। যে কারনে সব রোগীই রয়েছেন মারাত্বক স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে।

সূত্র জানায়, ৩১ শয্যা থেকে ৫০ শয্যার প্রশাসনিক অনুমোদন পেলেও দীর্ঘদিনেও মেলেনি ৫০ শয্যার জনবলসহ অন্যান্য সুযোগ সুবিধা। যে কারনে অধিকসংখ্যক রোগীদের চিকিৎসা দিতে হিমসিম খেতে হচ্ছে কর্তৃপক্ষের। রোগীদের সেবাদান নিশ্চিত করতে নতুন ভবনে শয্যা সংখ্যা বাড়াতে চেষ্টা করছে কর্তৃপক্ষ।

নার্সিং সুপারভাইজার বিজলী রানী পাইক আজকের বাংলাদেশ পোস্টকে জানান, 'জনবল সংকটের মধ্যেই আমাদের অক্লান্ত পরিশ্রমে রোগীরা সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরছে।'

আবাসিক মেডিকেল অফিসার মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, 'এখানে রোগীদের অনেক চাপ। স্বল্প জনবল দিয়েই আমরা আন্তরিকতার সাথে রোগীদের সেবা দিচ্ছি। জনবল ও শয্যা সংখ্যা বাড়লে রোগীরা আরো ভাল চিকিৎসা-সুবিধা পাবে। এখানে চিকিৎসা-সেবার মান ভাল হওয়ায় রোগীর চাপ দিনদিন বাড়ছে।'

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ শরীফ সাহাবুর রহমান জানান, 'শয্যাসংখ্যা বৃদ্ধির চেষ্টা চলছে। সরকারের কাছে জোর দাবি লোহাগড়ার মানুষের আরও বেশি সুচিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে জনবল বৃদ্ধিসহ ৫০ শয্যার সকল সুযোগ-সুবিধা চালু করা হোক। '

আইএইচ/সিবি/এডিবি