ন্যাভিগেশন মেনু

নিউইয়র্কে ‘শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস’ পালিত


বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার ৪০তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে রবিবার ( ১৭ মে )সন্ধ্যায় নিউইয়র্ক মহানগর আওয়ামী লীগের ভার্চুয়াল মিটিংয়ে সভাপতির বক্তব্যে জাকারিয়া চৌধুরী বলেন, ‘নেতৃত্বে সততা ও নিষ্ঠার অনন্য উদাহরণে পরিণত ‘মাদার অব হিউম্যানিটি’ হিসেবে স্বীকৃত জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশে ফিরেছিলেন বলেই বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ফিরে জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার পথে অনেক দূর এগিয়েছে’। 

জাকারিয়া উল্লেখ করেন, ‘১৯বারের অধিক সময় দুর্বৃত্তরা তাকে হত্যার চেষ্টা চালায়। কিন্তু বাঙালিদের ভালবাসায় সিক্ত রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা কখনোই হুমকি-ধমকির কাছে নতি স্বীকার করেননি। বাংলাদেশের সামগ্রিক উন্নয়নের সাথে প্রতিটি বাঙালির জীবনমানের উন্নয়নে নিজেকে বিলিয়ে দিয়ে সময়ের পরিক্রমায় শেখ হাসিনা আজ বিশ্বনেতায় পরিণত হয়েছেন। এভাবেই গণমানুষের অকুন্ঠ সমর্থনে দক্ষিণ এশিয়ায় সবচেয়ে জনপ্রিয় রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগও আজ ধন্য শেখ হাসিনার মতো নেতৃত্ব পেয়ে।’ 

নিউইয়র্ক মহানগর আওয়ামী লীগের অন্যতম যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুব্রত তালুকদারের সমন্বয়ে এ অনুষ্ঠানে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন সহ-সভাপতি হাজী আব্দুল কাদের মিয়া, আবুল হোসেন, মোরশেদ খান বদরুল এবং আব্দুল মতিন পারভেজ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আশরাব আলী খান লিটন এবং খায়রোল ইসলাম খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক রাজ চৌধুরি, সদস্য এটিএম মাসুদ। কার্যকরী পরিষদের অধিকাংশ সদস্য এই আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন। 

এ সময় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশ ও প্রবাসে মৃত্যুবরণকারি সকলের আত্মার শান্তি এবং যারা চিকিৎসাধীন রয়েছেন তাদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করা হয়। একইসাথে শেখ হাসিনার সুস্বাস্থ ও দীর্ঘায়ু কামনা করেও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। উল্লেখ্য, পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট রাতে জিয়াউর রহমানের মদদে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার সময় শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা বিদেশে থাকায় প্রাণে বেঁচে যান। 

এরপর ১৯৮১ সালে ১৭ মে শেখ হাসিনা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সামরিক শাসক জিয়ার আমলে বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তন করে আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জনগণের ভাগ্য উন্নয়নে অন্যতম একটি প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। 

ওআ