ন্যাভিগেশন মেনু

নড়িয়ায় দু’পক্ষের সংঘর্ষে আহত ৩০


শরীয়তপুর নড়িয়া উপজেলায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের সংঘর্ষে নারীসহ উভয় গ্রুপের অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছে। আহতদের শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এর মধ্যে দুই জনের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

শনিবার (৯ জানুয়ারি) সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত দফায় দফায় উপজেলার মোক্তারের চর ইউনিয়নের মহিষখোলা গ্রামে এই সংঘর্ষ হয়।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, দীর্ঘদিন ধরে মোক্তারের চর ইউনিয়নের বর্তমান মেম্বার তারেক ভূইয়া ও সাবেক মেম্বার মোস্তফা মাদবরের ছেলে জাকির মাদবরের এবং তাদের সমর্থক ও লোকজনের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলছিল। গত সপ্তাহে হারুন মল্লিকের মেয়ের বিয়েতে দিদার মাদবরকে বিয়ের দাওয়াত না দিতে বলেছিলেন তারেক ভূইয়ার সমর্থকরা, তাদের কথা না শুনে জাকির মাদবরের সমর্থক দিদার মাদবরকে দাওয়াত দেন হারুণ মল্লিক। এ ঘটনায় তারেক ভূইয়ার সমর্থকদের হারুণ মল্লিকের সাথে কথা কাটাকাটি হয়। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে দিদার মাদবর হারুণ মল্লিকের সাথে এসে তারেক ভূইয়ার সমর্থকদের সাথে বিরোধে জড়িয়ে পড়েন।

এ ঘটনায় তারেক মেম্বারে বাড়ি ও তার সমর্থকের বাড়িতে হামলা চালিয়ে তাদের অর্ধশতাধিক বাড়ি ঘর ভাংচুর ও লুটপাট করে জাকির মাদবরে বাহিনীরা। এ ঘটনার জেরে শনিবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত দফায় দফায় উভয় পক্ষের লোকজন দেশি অস্ত্র ও পিস্তল নিয়ে সংঘর্ষ হয়। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন।

আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। গুরুতর আহত ১২ জনের ভিতরে দুই জনকে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তারা দুই জন হলেন আবুল কালাম ভূইয়া ও দিদার মাদবর। বাকী ১০ জন শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি আছেন।

দেলোয়ার হোসেন ভূইয়া বলেন, জাকির মাদবরের লোকজন তারেক ভূইয়ার সমর্থকদের বাড়ি ঘর ঘেরাও করে ইট পাটকেল ছুড়তে থাকে। জাকির মাদবরের লোকজন কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়ে এতে আমরা কয়েজন গুলিবিদ্ধ হয়েছি। ৪০/৫০টি বসত ঘর ভাংচুর করে সব কিছু লুটপাট করে নিয়ে গেছে জাকির মাদবরের বাহিনীরা।

জাকির মাদবরের সমর্থক আহত মিলন বলেন, আমাদের লোকজন আটকিয়ে রাখছে তাকে উদ্ধার করতে গেলে তারা আমাদের উপর হামলা চালায়, এক পর্যায়ে আমাদের সাথে তাদের সংঘর্ষ বেধে যায়।

জাকির মাদবরের সাথে যোগাযোগ করতে চাইলে তাকে বাসায় গিয়ে পাওয়া যায়নি।

নড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান বলেন, দু'গ্রুপে সংর্ঘেষ ঘটনা ঘটেছে। উভয় গ্রুপের ৫ জনকে আটক করা হয়েছে। এখনো এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।

সিবি/এডিবি