ন্যাভিগেশন মেনু

পাবনায় সরিষা ক্ষেত থেকে ৪০ টন মধু আহরণের লক্ষ্যমাত্রা


পাবনায় ফসলের মাঠ সরিষার হলুদ ফুলে ছেয়ে গেছে। এ বছর সরিষা খেতে মৌচাষ করে ৪০ টন মধু আহরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

ক্ষেতের মধ্যে সারিবদ্ধভাবে বসানো হয়েছে মৌবক্স। সরিষার ফুল প্রায় দুই মাস জমিতে থাকে। এই দুই মাস সরিষা ফুলের মধু সংগ্রহ করা হয়।

পাবনার নয়টি উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, সরিষা ফুলে ভরে গেছে মাঠ।

কৃষক ও মৌচাষিরা জানান, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এ বছর জেলায় সরিষার আবাদ ভালো হয়েছে।

পাবনা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের একটি সূত্র জানিয়েছে, এ বছর জেলার নয়টি উপজেলায় ৩১ হাজার ৫৮০ হেক্টর জমিতে সরিষা আবাদ করা হচ্ছে। এ বছর সরিষার উৎপাদন গতবছরের চেয়ে বেশি হবে। প্রায় ৪৩ হাজার মেট্রিক টন সরিষা পাওয়া যেতে পারে বলে কৃষি বিভাগ আশা প্রকাশ করছে।

অধিদপ্তর সূত্র আরও জানান, জেলার অধিকাংশ সরিষা ক্ষেত থেকে মধু আহরণের জন্য মৌবক্স বসিয়েছে মৌচাষীরা। সরিষা ক্ষেতে মৌচাষ করে এ বছর প্রায় ৪০ টন মধু আহরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে কৃষি বিভাগ। তবে মৌচাষীরা ১০০ টন মধু আহরণ সম্ভব বলে দাবি করছে।

সুজানগর উপজেলার মানিকহাট গ্রামের কৃষক ময়েন উদ্দিন আজকের বাংলাদেশ পোস্টকে জানান, প্রতি বিঘা জমি থেকে সাড়ে চার মণ সরিষা পাওয়া যায়। গতবছর ক্ষেতের পাশে মৌচাষীরা মৌবক্স বসানোয় পরাগায়ন ভালো হয়েছিলো। যে কারণে প্রায় ছয় মণ সরিষা উৎপাদিত হয়েছে। কোনো অতিরিক্ত খরচ করতে হয়নি।

তিনি আরও বলেন, প্রতিবছর দুই বিঘা জমিতে সরিষা চাষ করতেন। গতবছর ফলন ভালো হওয়ায় এবার তিনি প্রায় ১০ বিঘা জমিতে সরিষার চাষ করেছেন।

উত্তরবঙ্গ মৌচাষী সমিতির সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আবহাওয়া অনুকূলে  থাকায় এ বছর পাবনায় সরিষার ফলন ভালো হয়েছে। আমাদের হিসাব অনুযায়ী, এ বছর পাবনা থেকে ১০০ টন মধু আহরণ করা সম্ভব হবে।

পাবনা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোতালেব হোসেন ও মো. ইদ্রিস আলী জানান, ‘এ বছর জেলার নয়টি উপজেলায় সরিষা ক্ষেতে প্রায় ৩৫ হাজার মৌবক্স স্থাপন করা হয়েছে। মৌবক্স স্থাপন করায় যেমন মধু পাওয়া যাচ্ছে, অন্যদিকে সরিষার উৎপাদনও বেড়েছে। পাবনা থেকে এবার প্রায় ৪৩ হাজার মেট্রিকটন সরিষা এবং প্রায় ৪০ টন মধু আহরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

কেএস/ এসএ/এডিবি