ন্যাভিগেশন মেনু

পোরশায় শত্রুতায় পুড়লো ১৬ কৃষকের ৬ বিঘা বীজতলা!


নওগাঁর পোরশায় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে অতিরিক্ত পরিমাণ কীটনাশক প্রয়োগ করে প্রায় ৬ বিঘা জমির বোরো ধানের বীজতলার চারা ঝলসে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

গত মঙ্গলবার (১৯ জানুয়ারি) উপজেলার সুতলী গ্রামের ওয়াসিম মণ্ডল নামে এক ব্যক্তির নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকরা।

থানায় দায়ের করা অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ঘাটনগর ইউনিয়নের দেউপুরা, সুতলী ও দেউপুরা মাঠে দেউপুরা, সুতলী, ধামানপুর ও সোমনগর গ্রামের ১৬ জন কৃষক বোরো ধানের বীজতলা তৈরি করেন। প্রায় দেড় মাস আগে ৬ বিঘা জমিতে ওই ১৬ জন কৃষক বোরো ধানের বীজ বপন করেন। আর ১০-১৫ দিন পর তাদের বীজতলার চারাগুলো জমিতে রোপনের উপযুক্ত হয়ে উঠতো। এ অবস্থায় গত রবিবার কিংবা সোমবার দিবাগত রাতের কোনো এক সময় সুতলী গ্রামের ওয়াসিম মণ্ডল ও তার লোকজন তাদের বীজতলায় অতিরিক্ত পরিমাণ কীটনাশক প্রয়োগ করে চারাগাছগুলো ঝলসে দেয়।

ওয়াসিম মণ্ডলের সঙ্গে ক্ষতিগ্রস্থ বীজতলার মালিক মনিব আল রাজী, এনামুল হক শাহ্, মোস্তাফিজুর রহমান, হারুনুর রশিদ ও আনারুল হকের সোমনগর ও ধামানপুর মাঠে ১৫ বিঘা আবাদি জমির মালিকানা নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। জমির মালিকানা নিয়ে আদালতে মামলা চলমান রয়েছে।

এছাড়া ২০১৯ সালে জোরপূর্বক জমি দখল করতে জমির ভোগদখলীয় মালিক ও পুলিশের হামলার ঘটনায় ওয়াসিম মণ্ডলের বিরুদ্ধে মামলা চলমান রয়েছে। এর আগেও জমি নিয়ে বিরোধের জেরে তিনি প্রতিপক্ষের পুকুরের মাছ ও আম বাগানের ক্ষতি করেছে। এবারও ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের ধারণা, জমি নিয়ে বিরোধের জেরে ওয়াসিম মণ্ডল কীটনাশক প্রয়োগ করে তাদের বীজতলা নষ্ট করেছে।

পোরশা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাহফুজ আলম বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে বীজতলার চারা দেখে মনে হয়েছে বীজতলায় অতিরিক্ত কীটনাশক প্রয়োগ করে চারাগুলো নষ্ট করা হয়েছে।

এ বিষয়ে পোরশা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিউল আজম খান বলেন, এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকেরা একটা অভিযোগ দিয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে।

বি এ আর/ এস এ/এডিবি