বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের (বিএডিসি) অধীনে মানসম্পন্ন বীজআলু উৎপাদন, সংগ্রহ, সংরক্ষণ, মান নিয়ন্ত্রণ ও বালাই ব্যবস্থাপনার ওপর দুই দিনব্যাপী বীজ ডিলার ও আলুচাষীদের প্রশিক্ষণ উদ্বোধন করা হয়েছে।
শুক্রবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে ফরিদপুর ডোমরাকান্দি বিএডিসি হিমাগারের সম্মেলন কক্ষে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এই প্রশিক্ষণের উদ্বোধন করেন বিএডিসি ( বীজ ও উদ্যান) সদস্য পরিচালক মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান।
বিএডিসি (মাবীউকৃবিপ্র) প্রকল্প পরিচালক মোঃ আবীর হোসেনের সভাপতিত্বে দুই দিনব্যাপী প্রশিক্ষণে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিএডিসি (বীজ) মহাব্যবস্থাপক প্রকাশ কান্তি মন্ডল।
আরও বক্তব্য রাখেন বিএডিসি যুগ্ম-পরিচালক আব্দুল সামাদ খান। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ফরিদপুর বিএডিসি হিমাগার (টিসি) উপ-পরিচালক কে এম মনিরুজ্জামান।
অনুষ্ঠান উপাস্থাপনা করেন বিএডিসি উপ-সহকারী পরিচালক মোঃ আব্দুল্লা আল মামুন।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) হিমাগার টিসির আওতায় চুক্তিবদ্ধ চাষীদের অনুরোধ, আমরা যেনাে নিম্নমানের আলুর বীজ সংগ্রহ না করি। ভালো আলুর বীজ উৎপাদন করলে, মানসম্মত ফসল উৎপাদন করে চাষীরা লাভবান হবেন।
আন্তর্জাতিক মূল্য ও উৎপাদন বিবেচনায় বাংলাদেশের ২০টি প্রধান ফসলের মধ্যে ধানের পরই আলুর স্থান। আলু উৎপাদনের দিক থেকে বাংলাদেশ এশিয়ার মধ্যে তৃতীয় ও পৃথিবীর মধ্যে সপ্তম স্থানে রয়েছে। বিএডিসি ১ লাখ মেট্রিকটন বীজ উৎপাদন করতে সক্ষম হয়েছে। দেশে নিজেদের চাহিদা মিটিয়ে ৫ হাজার মেট্রিকটন আলু রপ্তানি করতে পারবে বলে জানান। আলু চাষের জমির পরিমাণ প্রায় ৪.৬৪ লাখ হেক্টর।
একক সময়ে একক পরিমাণ জমিতে এতো বেশি ফলন (গড় ফলন ২৩ টন/হেক্টর) অন্য কোন চাষযোগ্য ফসলে পাওয়া যায় না এবং আলু উৎপাদন মৌসুমে তেমন কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ থাকে না বলে আলুচাষীরা আরও বেশি উৎসাহিত হচ্ছে। আলু গাছে বাংলাদেশে সাধারণত ফুল হয় না, তাই প্রথম দিকে বিদেশি জাত অবমুক্তির মাধ্যমে আলুচাষ শুরু হয়।
এসএম/ ওয়াই এ/এডিবি
