ন্যাভিগেশন মেনু

ফসলী জমিতে পুকুর খনন,টপ সয়েল যাচ্ছে ইটের ভাটায়


পাবনার চাটমোহরে নিয়ম-নীতি উপেক্ষা করে ফসলী জমির মাটি কাটা হচ্ছে। তৈরী করা হচ্ছে পুকুর। ফসলী জমির টপ সয়েল যাচ্ছে ইটের ভাটায়। ফলে কমছে ফসলি জমির পরিমাণ। প্রকাশ্যে চলছে এ বে-আইনি কর্মকাণ্ড।

মঙ্গলবার (২ ফেব্রুয়ারি) উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের তেবাড়িয়া ও জোদ্দার ভিটা এলাকায় গিয়ে দেখা যায় পৃথক দুটি স্থানে ফসলি জমিতে মাটি কাটার ভেকু মেশিন দিয়ে প্রায় বিশ বিঘা ফসলী জমিতে দুইটি পুকুর খননের কাজ চলছে। এছাড়া উপজেলার গুনাইগাছা, নিমাইচড়া, হান্ডিয়াল,পার্শ্বডাঙ্গাসহ বিভিন্ন ইউনিয়নে টপ সয়েল কেটে চলছে পুকুর খনন। পুকুরের মাটি বিক্রি করা হচ্ছে আশপাশের বিভিন্ন এলাকার ইটভাটায়।

এলাকাবাসী জানান, বিভিন্ন প্রলোভনে ফসলি জমি খনন করতে জমির মালিকদের উদ্বুদ্ধ করছেন মাটি ব্যবসায়ীরা। জমির মালিক রাজি হলে ভেকু মেশিন দিয়ে খনন কাজ শুরু করছেন তারা। অল্প দিনেই ফসলী  জমির রুপ পরিবর্তন হয়ে পরিবর্তিত হচ্ছে পুকুরে। ফলে আশপাশের ফসলী জমির চাষাবাদ ব্যহত হচ্ছে। পুকুর খননের মাটি পরিবহন করায় নষ্ট হচ্ছে রাস্তা। মাত্রাতিরিক্ত ধুলা সৃষ্টি হওয়ায় বায়ু দূষণ ঘটছে। ফলে শ্বাসকষ্ট জনিত রোগির সংখ্যা বাড়ছে। ফসলি জমি খননে জড়িত মাটি ব্যবসায়ীদের আইনের আওতায় আনা হলে বন্ধ হতে পারে এই বে-আইনি কর্মকান্ড। অনেকেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমোদন না নিয়েই এ কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছেন।

এ ব্যাপারে চাটমোহর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সৈকত ইসলাম আজকের বাংলাদেশ পোস্টকে জানান, ফসলি জমি কেটে পুকুর খননের অভিযোগ পেলে সাথে সাথেই  ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। কাউকে কোন ফষলী জমি কেটে পুকুর  করতে দেয়া হবে না ।

আই কে/ এস এ/ওআ