ঈদে ঘরমুখো যাত্রীদের ঢল নেমেছে মাদারীপুরের কাঁঠালবাড়ি-শিমুলিয়া নৌরুটে। শনিবার (২৩ মে) ভোরে লঞ্চ ও স্পিডবোটে বন্ধ থাকায় ফেরিতে যাত্রীদের ভিড় দেখা গেছে।
রাজধানী থেকে সড়ক পথে শিমুলিয়া ফেরিঘাটে এসে ফেরিতে পদ্মা নদী পার হয়ে কাঁঠালবাড়ি আসছে যাত্রীরা। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মানুষ ঢাকা থেকে ঈদ সামনে রেখে ফিরতে শুরু করেছে শ্রমজীবী পরিবারের সদস্যরা। গণপরিবহন বন্ধ থাকার কারণে কাঠালবাড়ি ঘাটে এসে বিপাকে পড়ছে যাত্রীরা। কেউ পায়ে হেঁটে আবার কেউ ছোট যানবাহনে করে নিজ নিজ গন্তব্যে ছুঁটছেন যাত্রীরা।
কাঁঠালবাড়ি ফেরিঘাটের ব্যবস্থাপক আব্দুল আলিম মিয়া জানান, গত তিন দিন বন্ধ থাকার পর সরকারি নির্দেশনা পাওয়ার পর এই নৌরুটে চলাচলকারী ১৭টি ফেরির মধ্যে ১৩টি ফেরি চালু করা হয়েছে। লঞ্চ ও স্পিডবোট চলাচল বন্ধ থাকায় যাত্রীরা ফেরিতে পারাপার হচ্ছে।
এদিকে সড়কে গণপরিবহন না থাকায় ঢাকার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ভেঙে ভেঙে পাটুরিয়াতে এসে গাদাগাদি করে ফেরিতে নদী পার হয়ে দৌলতদিয়াতে আসছে যাত্রীরা। দৌলতদিয়া প্রান্তের সড়কে গণপরিবহন না থাকায় দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের বিভিন্ন জেলায় যাওয়া ঘরমুখো যাত্রীরা পড়েছেন চরম ভোগান্তিতে।
এ সময় যাত্রীদের অতিরিক্ত কয়েকগুন ভাড়া দিয়ে মোটরসাইকেল, অটোরিকশা, ভ্যান, প্রাইভেটকার ও মাইক্রোবাসে গন্তব্য যেতে দেখা গেছে।
বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক আবু আব্দুল্লাহ রনি জানান, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে বর্তমান ৯টি ছোট বড় ফেরি চলাচল করছে। এতে পণ্যবাহী ট্রাক, মাক্রোবাস, প্রাইভেটকার, এ্যাম্বুলেন্স, মোটরসাইকেলসহ হাজার হাজার যাত্রী পারাপার হচ্ছে। বেলা বাড়ার সাথে সাথে মানুষের ঢল আরো বেশি হবে বলে জানান তিনি।
ঘরমুখো যাত্রীরা বলেন, দৌলতদিয়া ঘাট খুলে দেওয়ায় তারা বাড়িতে ঈদ করতে যেতে পারছেন তাই তরা অনেক আনন্দিত। তবে গণপিরবহন না থাকায় তারা ভোগান্তির মধ্যে পরেছেন। ভেঙে ভেঙে তারা ঢাকা থেকে বাড়িতে যাচ্ছেন এতে তাদের ভাড়াও বেশি লাগছে। তারপরও তারা বাড়িতে ঈদ করতে যেতে পেরে অনেক আনন্দিত।
আর পণ্যবাহী যানবাহনের চালকেরা বলেন, তারা ফেরি পারে হতে টিকেটের মূল্যের চাইতে কয়েকগুন টাকা বেশি দিয়ে আগের ফেরি পার হতে হচ্ছে।
ওআ/