নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জের ছোট শরীফপুরে শিশু এমরানকে বলাৎকারের পর শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে বলে পুলিশের তদন্তে উঠে এসেছে।
গত ২৫ আগস্ট ছয়ানী বাজারের সহিদের পরিত্যক্ত দোকানঘর থেকে অর্ধগলিত অবস্থায় এমরানের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মঙ্গলবার নোয়াখালী জেলা পুলিশের সম্মেলন কক্ষে পুলিশ সুপার আলমগির হোসেন সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।
এমরান স্থানীয় ছয়ানী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির ছাত্র। চারজন মিলে বলাৎকার করলে শিশুটি অনেকটা জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। পরে শ্বাসরোধে হত্যা করে স্থানীয় একটি পরিত্যক্ত দোকানঘরে প্লাস্টিকের মাছের ঝুড়িতে রেখে দেয়।
ওয়াসিম আকরাম নামে একজনকে গ্রেফতারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এবং জেলার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক শোয়েব উদ্দিন খানের কাছে ১৬৪ ধারায় দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি থেকে এসব তথ্য উঠে আসে।
২২ আগস্ট নিখোঁজ হয় এমরান। পরে তার বাবা বেগমগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। এরপর পুলিশ এমরানকে উদ্ধারের চেষ্টা করে। ২৫ আগস্ট ছয়ানী বাজারের সহিদের পরিত্যক্ত দোকানঘর থেকে অর্ধগলিত অবস্থায় এমরানের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এরপর পুলিশ এ ঘটনায় একটি হত্যা মামলা গ্রহণ করে এবং আসামিদের গ্রেফতারে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালায়।
এস এস
