ন্যাভিগেশন মেনু

বাঁশখালীতে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলনের সময় প্রশাসনের অভিযান, পাইপ জব্দ


বাঁশখালীর পুকুরিয়া ৯ নং ওয়ার্ড এলাকায় সাঙ্গু নদী থেকে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন করছে প্রভাবশালী সিন্ডিকেট। খবর পেয়ে উপজেলা প্রশাসন তাৎক্ষণিক অভিযান পরিচালনা করে। এসময় অবৈধ বালু উত্তোলন কাজে ব্যবহৃত পাইপ জব্দ করা হয়েছে। 

মঙ্গলবার বিকেলে বাঁশখালীর পুকুরিয়া সাঙ্গু নদীর পাড় এলাকায় এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।
জানা গেছে, মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলার পুকুরিয়া ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ড এলাকায় অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলনের খবর পেয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল খালেক পাটোয়ারীর নেতৃত্ব অভিযান পরিচালনা করা হয়।

স্থানীয়রা জানান, পুকুরিয়ার মৃত আবুল হাশেমের পুত্র ৯ নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য মামুনুর রশীদ (বালু মামুন) ও একই এলাকার মৃত ছৈয়দ আহমদের পুত্র মোঃ কাওসার ওরফে (বালু কাওসার) এবং একই এলাকার মাহফুজর রহমানসহ প্রভাবশালী বালু সিণ্ডিকেট চক্র দীর্ঘদিন যাবৎ শঙ্খনদী  থেকে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন ও বিক্রি করে লাখ লাখ টাকা অবৈধ উপার্জন করে যাচ্ছে। যার ফলে প্রতি বছরই বর্ষার মৌসুমে তেইচ্ছিপাড়া ও পূর্ব পুকুরিয়া এলাকায় নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে শত শত পরিবারের বসতঘর।বর্তমানেও কয়েক হাজার পরিবার শঙ্কায় রয়েছে। অবৈধ বালু সিণ্ডিকেট চক্র সদস্যরা প্রভাবশালী হওয়াতে কেউ কিছু বলার সাহস পায়না, বালু উত্তোলনের ফলে নদী ভাঙ্গন রোধ করা যাচ্ছেনা বলেও জানান এলাকাবাসী।

বাঁশখালী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল খালেক পাটোয়ারী জানান, অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের গোপন সংবাদ পেয়ে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। এসময় ঘটনাস্থলে জড়িতদের কাউকে পাওয়া যায়নি। তবে বালু উত্তোলন কাজে ব্যবহৃত পাইপ জব্দ করা হয়েছে। শব্দকৃত পাইপ পুকুরিয়া ইউপি চেয়ারম্যান এবং ৮ নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্যের জিম্মায় রাখা হয়েছে বলে জানান তিনি। পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এদিকে প্রশাসনের অভিযানের মাঝেও পুকুরিয়ায় বালু সিন্ডিকেট বেশ সক্রিয় হয়ে উঠেছে। বিভিন্ন স্থানে বালু খেকোরা তৎপর হয়ে উঠেছে।