ন্যাভিগেশন মেনু

বাণিজ্য সুবিধা পেতে সরকার পিটিএ, এফটিএ প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে: বাণিজ্যমন্ত্রী


দীর্ঘমেয়াদী বাণিজ্য সুবিধা পেতেই সরকার পিটিএ বা এফটিএ করার জন্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।

বুধবার (৩০ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ সচিবালয় থেকে ভার্চুয়াল প্লার্টফর্মে রিসার্চ পলিসি ইনট্রিগ্রেশন ফর ডেভেলপমেন্ট(র‌্যাপিড) এবং ফ্রাইডরিচ এবার্ট স্টুফ্টুং এর সহযোগিতায় ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম(ইআরএফ) আয়োজিত ‘ভূ-অর্থনীতি ও বাংলাদেশ শীর্ষক ওয়েবিনারে (সেমিনারে)’ এ তথ্য জানান।

এসময় বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বৈদেশীক বাণিজ্যে শুল্ক আয় হ্রাসের সম্ভাবনা থাকলেও দীর্ঘ মেয়াদে আমরা সুফল পাবো। প্রতিযোগিতামূলক বিশ্ববাণিজ্যে এগিয়ে যেতে হলে দক্ষতার সাথে বাণিজ্য করতে হবে। বাংলাদেশ আজ বিম্ববাণিজ্যে দক্ষতা অর্জন করেছে। বিভিন্ন ধরনের প্রতিকুলতা মোকাবেলা করেই সফল ভাবে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ।’

তিনি বলেন, বিশ্বব্যাপী এখন বাণিজ্য কুটনৈতিক চলছে, আমাদেরও এ সুবিধা নিতে হবে। কুটনীতিকদের দেশের রপ্তানি বাণিজ্য বৃদ্ধি করতে ভুমিকা রাখতে হবে। ইতোমধ্যে বাংলাদেশও কাজটি শুরু করেছে। কুটনীতিকদের এ বিষয়ে ভূমিকার রাখার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। এতে করে বাংলাদেশ দ্রুত রপ্তানি বাণিজ্য বৃদ্ধি করতে পারবে।’

মন্ত্রী বলেন, ‘এশিয়া এখন বাণিজ্যের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ভোক্তা বিবেচনায় এশিয়াকে গুরুত্ব দেয়ার সময় এসেছে। এশিয়ার মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। মানুষ এখন মানসম্পন্ন পণ্য কিনতে চায়। ফলে এশিয়া বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বাজার হতে পারে। এশিয়ার বাজার ধরে রাখার জন্য পদক্ষেপ নেয়ার সময় এসেছে। রপ্তানি কারকগণও এখন এশিয়ার বাজারগুলোকে গুরুত্ব দিচ্ছে। ভবিষ্যতে এশিয়াই হবে বড় বাজার। ’

টিপু মুনশি বলেন, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং চিনের বাণিজ্যযুদ্ধ এবং কোভিড-১৯ বিশ্ববাণিজ্যে প্রভাব ফেলেছে। বাংলাদেশও এর বাইরে নয়। বাংলাদেশ সরকারের সময়োপযোগি সিদ্ধান্ত গ্রহণের ফলে বিশ্বের মন্দা অর্থনীতির মাঝেও আমরা ভালভাবেই টিকে আছি। বাংলাদেশ রপ্তানি পণ্য সংখ্যা বৃদ্ধির প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। আশা করা যায় কোভিড-১৯ পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশ ভালভাবেই এগিয়ে যাবে।’

এমআইআর/ওআ