ন্যাভিগেশন মেনু

বিবস্ত্র করে নারী নির্যাতন: ঘটনাস্থল পরিদর্শনে পিবিআই


নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে নারীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ঘটনায় দায়ের করা দুটি মামলার তিন আসামী বাদল, কালাম ও সাজুকে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) এর কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

শনিবার (১০ অক্টোবর) সকাল ১০টায় এই তিন আসামীকে সাথে নিয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে দায়ের করা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ইন্সেপেক্টর মামুনুর রশিদ পাটোয়ারী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ সময় পিবিআই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সঙ্গে ছিলেন।

এর আগে শুক্রবার সকালে পিবিআই নোয়াখালীর ইন্সেপেক্টর সুভাষ চন্দ্র পালের নেতৃত্বে একটি দল একলাশপুর ইউনিয়নের জয়কৃষ্ণপুর গ্রামের নির্যাতনের শিকার ওই নারীকে নিয়ে তার বাড়ি পরিদর্শনে যায়।

এ সময় মামলার তদন্তকারী দুই কর্মকর্তা ছাড়াও পিবিআই চট্টগ্রামের তদন্ত বিশেষজ্ঞ ফারুক আহমেদ এবং মামলা দুটির সাবেক তদন্তকারী কর্মকর্তা বেগমগঞ্জ মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোস্তাক আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।

এই ঘটনা প্রকাশ হওয়ার পর থেকে নির্যাতিতার বাড়িতে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মোঃ আলমগীর হোসেন জানান, পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের নির্দেশনা অনুযায়ি শুক্রবার বিকেলে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন এবং পর্ণোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে ভুক্তভোগীর দায়ের করা দুটি মামলা পিবিআইতে স্থানান্তর করা হয়। পিবিআই নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে দায়ের করা মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা নিযুক্ত করে ইন্সেপেক্টর মামুনুর রশিদ পাটোয়ারীকে। এছাড়া পর্ণোগ্রাফি আইনে দায়ের করা মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা করা হয় ইন্সেপেক্টর মোস্তাফিজুর রহমানকে।

উল্লেখ্য, ঘরে ঢুকে এক নারীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন এবং ঘটনার সময় মুঠোফোনে ধারণ করা একটি ভিডিও গত রোববার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ওইদিন রাতে পুলিশ নির্যাতনের শিকার ওই নারীকে খুঁজে বের করে নিরাপত্তা হেফাজতে নেয়। ওই রাতে ভুক্তভোগী বাদি হয়ে বেগমগঞ্জ মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন এবং পর্ণোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে দুটি দায়ের করেন।

দুই মামলার এজাহারে ৯ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ৭/৮ জনকে আসামী করা হয়েছে। দুই মামলায় এ পর্যন্ত ১১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর মধ্যে এজাহারভুক্ত ৬ জন এবং তদন্তে যুক্ত করা হয়েছে ৫ জনকে।

এস এ/এডিবি