ন্যাভিগেশন মেনু

বেনাপোলে মুক্তিযোদ্ধাদের ‘কৃতজ্ঞতা’ সমাবেশ


মহান মুক্তিযুদ্ধের বিজয়ের দিনে দেশের সূর্য সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে দেশে এই প্রথম বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে ব্যতিক্রম ‘কৃতজ্ঞতা’ সমাবেশের আয়োজন করলেন বেনাপোল পৌর মেয়র আশরাফুল আলম লিটন।

সোমবার বেনাপোল পৌর কমিউনিটি সেন্টার ”বিয়ে বাড়িতে” অনুষ্ঠিত এই সমাবেশে বেনাপোল-শার্শা তথা যশোর জনপদের ২৫ জন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে সংবর্ধিত করা হয়।

পরে ”বিয়ে বাড়ির” হল ঘরে নারী পুরুষ শিশু বৃদ্ধ বনিতার উপস্থিতিতে আয়োজিত এই কৃতজ্ঞতা সমাবেশে মেয়র আশরাফুল আলম লিটনসহ বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ বেনাপোল পৌর আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক আলহাজ্ব মোঃ আহসান উল্লাহ মাষ্টার, বেনাপোল পৌর মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ শাহ-আলম, বীর মুক্তযোদ্ধা শেখ শহীদ উল্লাহ বাবু, বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রবীন সাংবাদিক কবি আলতাফ চৌধুরী ও বেনাপোল পৌর সচিব রফিকুল ইসলাম।

এর আগে সমাবেশের শুরুতে পবিত্র কোরআন তেলোয়াত করা হয়। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের উত্তরীয় পরিয়ে দেওয়া, ক্রেষ্ট প্রদান ও ফুলেল সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেন বেনাপোল পৌর আওয়ামী যুবলীগের আহ্বায়ক শ্রী সুকুমার দেবনাথ।

সমাবেশে মেয়র আশরাফুল আলম লিটন বলেন, ইতিহাসের মহানায়ক জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে যে বীর মুক্তিযোদ্ধারা তাদের সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করে রনাঙ্গনের ময়দানে প্রানপণ লড়াই করে বর্বর পাকিস্তানী সেনাবাহিনীকে পরাজিত করে আমাদের গোটা জাতিকে যে বীরত্ব গাঁথা উপহার দিয়েছেন, লালসবুজের পতাকা দিয়েছেন, স্বাধীন সার্বোভৌম ভূখন্ড দিয়েছেন সেই সুর্য সন্তানদের প্রতি কৃতজ্ঞতা সমাবেশ এর আয়োজন দেশে এই প্রথম।

তিনি বলেন, আমি আজ যে যাত্রা শুরু করে দিয়ে গেলাম আমি পৌর মেয়র থাকি আর না থাকি আমার অনুসারি যাদেরকে রেখে যাচ্ছি তারা যতদিন এই ইতিহাসের স্বাক্ষীরা বীর যোদ্ধারা জীবিত থাকবেন তাদেরকে এ ভাবেই সন্মানিত করবেন এই বিশ্বাস আমার আছে।

মেয়র বলেন, এই ইতিহাস এই মুক্তিযোদ্ধারা এই সুর্য সন্তানরা একের পর এক হারিয়ে যাচ্ছেন। হয়ত আমরা আর তাদেরকে বেশীদিনে পাবো না তবে যতদিন পাবো তাদেরকে এভাবেই সম্মানিত করে যাব।

তিনি আরও বলেন, ৭১ এর বীর মুক্তিযোদ্ধারা আমাদের একটি দেশ উপহার দিয়েছেন। আর সেই দেশের হয়ে কাজ করছেন একজন মন্ত্রী, একজন এমপি, একজন মেয়র। সুতারং মুক্তিযোদ্ধাদের অধিকার এই দেশের সকল জায়গায় সকল ক্ষেত্রে। আজ হতে সেই সকল বীর মুক্তিযোদ্ধারা আর কোথাও পিছনে থাকবে না, তাদের চেয়ার থাকবে সকল মন্ত্রী, সংসদ সদস্য ও  মেয়র এর সামনে।

সমাবেশে যাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হয় সেই সুর্যসন্তানদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, মোঃ শাহ আলম, মোঃ দ্বীন ইসলাম মল্লিক, মোঃ মোফাজ্জেল বাবলু, মোঃ আব্দুল মান্নান, মোঃ কওছার আলী, মোঃ মতিয়ার রহমান, আঃ রহমান, আঃ রশিদ, আবু সামা, মোঃ দেলোয়ার হোসেন, শেখ শহীদ উল্লাহ, মোঃ আতিয়ার রহমান, মোঃ বাবুল মন্ডল, মোঃ সামছুল হুদা, মোঃ হানেফ কাজী,মোঃ আবুল হোসেন, মোঃ নুরুল ইসলাম, মোঃ আব্দুল লতিফ, মোঃ মাহাবুবুর রহমান, মোঃ নুরুল হক, মোঃ নুরুল ইসলাম, মোঃ সৈয়াদ আলী, মোঃ মুজিবুর রহমান, মোহাম্মাদ আলী, মোঃ মোক্তার আলী ও আলতাফ চৌধুরী।

এছাড়া সমাবেশে মেয়র লিটন ঘোষনা দেন যে সব বীর মুক্তিযোদ্ধারা আমাদের মাঝে রয়েছেন অতি দ্রুতই তাদের প্রত্যেকের ছবি প্রট্রেট একে বাঁধাই করে পৌর ভবনে সংরক্ষন করা হবে ও প্রত্যেক মুক্তিযোদ্ধার বাড়িতে একটি করে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।

 এস এ / এস এস